মসজিদের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ, কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন রাজ ঠাকরের বাড়ির বাইরে
মসজিদের বাইরে হনুমান চল্লিসা পাঠ, কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন রাজ ঠাকরের বাড়ির বাইরে
মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে লাউডস্পিকার সরানো না হলে বুধবার থেকে মসজিদের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ চলবে। মঙ্গলবার রাতের পর মুম্বই পুলিশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ঠাকরেকে নোটিস পাঠায় এবং তাঁর বাসভবনের সামনে মোতায়েন রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
লাউডস্পিকার
নিয়ে
ঔরঙ্গাবাদ
পুলিশ
মঙ্গলবারই
ঠাকরের
বিরুদ্ধে
মামলা
দায়ের
করেছে।
শুধু
তাই
নয়,
শহরের
শান্তি
ভঙ্গ
করার
অপরাধে
থানে
পুলিশের
পক্ষ
থেকে
১৪০০
জনকে
নোটিস
পাঠানো
হয়েছে।
এরই
মধ্যে
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
ছড়িয়ে
পড়া
ভিডিওতে
দাবি
করা
হয়েছে,
রাজ
ঠাকরের
আহ্বান
অনুযায়ী,
বুধবার
ভোর
পাঁচটায়
আজানের
সময়
মসজিদের
বাইরে
হনুমান
চালিসা
পাঠ
করা
হবে।
প্রসঙ্গত, গুড়ি পারওয়া উৎসবের দিন রাজ ঠাকরে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এবং সেটা যদি মহারাষ্ট্র সরকার না শোনে তবে তাঁর দলীয় কর্মীরা মসজিদের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করবেন। এরপরই গোটা রাজ্য জুড়ে হনুমান চালিসা ও তার পাঠ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক দানা বাঁধতে থাকে।
রাজ ঠাকরে মহারাষ্ট্র সরকারকে ৩ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর দলীয় কর্মীদের কাছে আর্জিও করেছিলেন যে মঙ্গলবার কোনও মহা আরতি করা হবে না, কারণ মুসলিমদের কোনও ধরনের বিরক্তি ইদ উদযাপনের সময় করা হবে না। হিন্দুদের অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই মুসলিমরা ইদ উদযাপন করেন।
কড়া নিরাপত্তা বলয়ে যোধপুর,হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার ৯৭ জন
কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ইদের দিন না ঘটে তার জন্য সোমবারই রাজ ঠাকরে টুইট করে বলেন, 'আমরা কারোর উৎসবে কোনও বাধা দিতে চাই না। লাউডস্পিকারের ইস্যু কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়, কিন্তু এটা সামাজিক বিষয়। এটা নিয়ে কি করণীয় তা ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি আগামীকাল একটি টুইটের মাধ্যমে এ সম্পর্কে আমার মতামত প্রকাশ করব। আপাতত এতটুকুই।’
যদিও মঙ্গলবার রাজ ঠাকরে ফের মানুষের কাছে আবেদন করেন যে ৪ মে থেকে যে সব এলাকায় আজান চলবে সেখানে গিয়ে হনুমান চালিসা পড়ুন। খোলা চিঠিতে রাজ ঠাকরে বলেছেন, 'যদিও সরকার এই বিষয়ে খুবই দুর্বল। এই দেশে, অনেকে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স দেয়। ধর্মের নাম করে লাউডস্পিকার বাজানোর যে চল, তাতে বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু, পড়ুয়াদের অবশ্যই অসুবিধা হচ্ছে এবং এই বিষয়কে মাথায় রেখেই সুপ্রিম কোর্ট এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাজ ঠাকরে এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'লাউডস্পিকারগুলো অননুমোদিত। এমনকী, অনেক মসজিদও অননুমোদিত। তাই এটা কি করে সম্ভব যে অননুমোদিত মসজিদগুলিকে সরকার লাউডস্পিকার ব্যবহারে অনুমোদন দিতে পারে? আর এই অনুমতি যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে হিন্দু মন্দিরগুলিকেও লাউডস্পিকার চালানোর অনুমোদন দেওয়া উচিত। আসলে এটা ধর্মীয় সমস্যা নয়, কিন্তু সামাজিক সমস্যা। এদেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষ শব্দ দূষণের শিকার।’