গুজরাত নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা, এলপিজি, পিএনজির দামে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমাল রাজ্য সরকার
গুজরাত নির্বাচনের আগে এলপিজি ও পিএনজির দামের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট কমাল রাজ্য সরকার
চলতি বছরের শেষের দিকে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন হিমাচল প্রদেশের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করলেও এখনও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি। নির্বাচনের ঠিক আগে গুজরাত সরকার এলপিজি এবং পিএনজির দামে ভ্যাট 10 শতাংশ কমানোর ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সরকার উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের অধীনে দুটি এলপিজি সিলিন্ডারের অনুমতি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হলেও গুজরাত নির্বাচনের দিন প্রকাশ করা হয়নি। যদিও দুটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিন একই সময়ে প্রকাশ করার কথা ছিল। সাধারণ যে সব রাজ্যগুলোর বিধানসভার মেয়াদ ছয় মাসের মধ্যে শেষ হয়, নির্বাচন কমিশন এক সঙ্গে সেই রাজ্যগুলোর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে। ২০২২ সালে আশ্চর্যজনকভাবে নির্বাচন কমিশন হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেও গুজরাতের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি।
যদিও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। তিনি বলেন, দুটি রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদের ব্যবধান ৪০ দিন রয়েছে। নিয়ম অনুসারে এটি কমপক্ষে ৩০ দিন থাকা দরকার। তা না হলে একটির ফলাফল অন্যটির ওপর প্রভাব পড়ে। গুজরাতের বিধানসভায় মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভার মেয়ায় ৮ জানুয়ারি শেষ হবে। হিমাচল প্রদেশে আগে নির্বাচন করা দরকার। কারণে শীতের সময় সেখানে নির্বাচনের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। যদিও ২০১৭ সালে দুটি রাজ্যে আলাদা সময়ে নির্বাচন হয়েছিল। এবং ভোটগণনা আলাদা সময়ে হয়েছিল।
গুজরাতে ক্রমেই আপ তার প্রচারের জোর বাড়াচ্ছে। আপ গুজরাতে বিজেপির প্রধান বিরোধী বলে দাবি করেছে। আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রচারের পাশাপাশি একাধিক প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছেন। আপের তরফে দাবি করা হচ্ছে, গুজরাতে বিজেপির প্রধান বিরোধী দল আপ। যদিও ২০১৭ সালে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল আপ। সেক্ষেত্রে একটি আসনেও জয় লাভ করতে পারেনি।
আপের পাশাপাশি বিজেপি প্রচারে জোর বাড়াতে শুরু করেছে। জেপি নাড্ডার সম্প্রতি গুজরাতে প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে। অমিত শাহেরও গুজরাতে ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতে সেভাবে প্রচার করেনি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মোদীকে প্রচারের জন্য আরও সময় দিতে হবে। ২০২২ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় খুব সহজ হবে না বলেই মনে করা বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে।
ভারতে গত ১৫ বছরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে ৪১৫ মিলিয়ন, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের