Gujarat Elections Result 2022: গুজরাতে রেকর্ড জয় বিজেপির! ছুঁয়ে ফেলল পশ্চিমবঙ্গের বামেদের কৃতিত্বকে
নরেন্দ্র মোদীর ২০০২ সালের ১২৭ টি আসনে জয়ের রেকর্ডকে এবার ভেঙে দিল বিজেপি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপির ১৮২ টি আসনের মধ্যে ১৫১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তাঁর জয় নিশ্চিত।
নরেন্দ্র মোদীর ২০০২ সালের ১২৭ টি আসনে জয়ের রেকর্ডকে এবার ভেঙে দিল বিজেপি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপির ১৮২ টি আসনের মধ্যে ১৫১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তাঁর জয় নিশ্চিত। এই জয়ের সঙ্গে গুজরাত বিজেপি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের বামেদের কৃতিত্বকে ছুঁয়ে ফেলল।
২০২২-এর নির্বাচনে বিজেপি
ভোটের আগে ও পরে বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয়েছিল বিজেপি এবার গুজরাতে রেকর্ড ভোটে জিতবে। এদিন গণনার শুরু থেকে সেই পথেই চলেছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ১২৭ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার বিজেপি সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে ১৪৯ টি আসনে। কংগ্রেস কুড়িটি, আপ আটটি এবং অন্যরা ৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
পরপর সাতবার জয়
১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাতে বিজেপির জয়যাত্রা শুরু হয়। সেই বছর বিজেপি জেতে ১২১ টি আসনে। ১৯৯৮-এ ফের নির্বাচনে বিজেপি পায় ১১৭ টি আসন। ২০০২ সালে বিজেপি পায় ১২৭ টি আসন। ২০০৭-এ বিজেপি পায় ১১৭ টি আসন। ২০১২ সালে বিজেপি পায় ১১৫ টি আসন। আর ২০১৭-তে তা কমে হয় ৯৯। আর এবার তা গুজরাতে বিজেপির ফলের সর্বকালের সেরা হতে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গের টানা ৭ বারের বাম শাসন
১৯৭৭ সালে প্রমোদ দাশগুপ্ত রাজ্য সম্পাদক থাকার সময়ে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। এরপর ১৯৮২, ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬-এ জ্যোতি বসুর নেতৃত্বেই ক্ষমতায় ফেরে বামফ্রন্ট। ২০০১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রী করে সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। তাঁরই নেতৃত্বে ২০০১ এবং ২০০৬ সালেও জয় পায় বামফ্রন্ট। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের সামনে বামেদের টানা ৩৪ বছরের শাসনের অবসান হয়।
ত্রিমুখী লড়াইয়ে কংগ্রেসের ভোটে ভাগ আপের
গুজরাতে সাধারণভাবে এতদিন ভোট ভাগ হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার ত্রিমুখীতে পরিণত হয়েছিল। আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসায়। যার জেরে ২০১৭-তে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৭৭ থেকে এবার ১৭-র আশপাশে যেতে চলেছে। আপ সেখানে দু-অঙ্কে পৌছতে না পারলেও কংগ্রেসের যাত্রা ভঙ্গ করেছে।
এবারের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত আগে থেকে থাকলেও নির্বাচনী প্রচারে তেমন কোনও শৈথিল্য দেখায়নি গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক রোড শো করেছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায় দুমাস রাজ্যে সময় দিয়েছেন। বিজেপির প্রায় সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুজরাতে প্রচার করেছেন। আপও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তবে তারা তা না পারলেও বহু আসননে কংগ্রেসের ভোট কেটেছে।