তলানিতে এসে ঠেকেছে দেশের ৮টি বড় শিল্পের বৃদ্ধির হার, সঙ্কটে কেন্দ্র
পরতে পরতে চরম দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠছে। দেশের মোট আটটি শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়ন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
দেশীয় অর্থনীতির পরতে পরতে চরম দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠছে। দেশের মোট আটটি শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়ন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। গতবছর যেখানে ৭.৩ শতাংশ ছিল আর্থিক উন্নয়ন এবছর সেটা ২.১ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
কোন কোন ক্ষেত্র সঙ্কটে
মোট আটটি ক্ষেত্রের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পরিশোধিত দ্রব্য, সার, স্টিল, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ। গত বছর এই ক্ষেত্রগুলির অবস্থা ৭.৩ শতাংশ ছিল। সেটা পড়তে পড়তে ২.১ শতাংশতে এসে ঠেকেছে। যাকে বলে চরম দুরবস্থার স্বীকার হয়েছে এই শিল্পক্ষেত্রগুলি। শুধু জুলাইয়ে নয়, এপ্রিল থেকে জুলাই মাসেও এই ক্ষেত্র গুলিতে পতন শুরু হয়েছিল।
জিডিপি বৃদ্ধি কমার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই চরম পরিস্থিতি
জিডিপি বৃদ্ধিও তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার খানা তল্লাশিতে নেমেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। প্রবল আর্থিক অচলাবস্থার দিকে এগোচ্ছে দেশ। এই নিয়ে মোদী সরকারের আর্থিক নীতিকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও মোদীকে দায়ি করেেছন এই পরিস্থিতির জন্য। গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থা যেন থমকে গিয়েছে। জিএসটি সংগ্রহও অনেকটাই কমেছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিলে হাত
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে যা কখনও হয়নি। তা ঘটেছে মোদী সরকারের আমলে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছে মোদী সরকার। তারপরেও দেশের এই আর্থিক দুরবস্থা। শেয়ার বাজাের লাগাতার পতন। তলানিতে এসে ঠেকেছে টাকার দাম।
তারপরেও মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেবেন। যাকে দিবা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি নন অর্থনীতিিবদরা।
[আরও পড়ুন: সারদা তদন্তে পদে পদে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, আদালতে অভিযোগ সিবিআইয়ের]
[আরও পড়ুন: মমতার পায়ে হাত দিলেই পোস্টিং পাওয়া যায়, অর্জুন-কাণ্ডে পুলিশকে একহাত দিলীপের ]