হিন্দিকে প্রাধান্য দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ ইংরেজিকে অপমান নয় : বিজেপি
বিজেপির সহ সভাপতি মুক্তার আব্বাস নাকভির কথায়, হিন্দি আমাদের জাতীয় ভাষা। হিন্দিকে প্রাধান্য দেওয়ার অর্থ কখনওই ইংরাজী ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে। হিন্দিকে প্রাধান্য দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো উচিত।
নাকভির কথায়, হিন্দি হল, তামিল, তেলেগু,মালায়ালি, গুজরাতি, বাংলা,অসমিয়া, উর্দু এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার মিশেল। মহাত্মা গান্ধী,জওহর লাল নেহেরু,দীন দয়াল উপাধ্যায়, রামমনোহর লোহিয়ার মতো ব্যক্তিত্বরা বংশপরম্পরায় হিন্দি ভাষার মাধ্যমে মানুষকে একই সূত্রে বাঁধার চেষ্টা করলেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু বর্তমান সরকার হিন্দির প্রচারের জন্য সততার সঙ্গে চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন নাকভি।
'সরকারের পদক্ষেপের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে,কেউ কারোর উপরে হিন্দিকে জোর করে চাপায়নি'
একইসঙ্গে নাকভি বলেন, হিন্দি ও ইংরাজি ভাষার মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু কেউ যদি হিন্দির বিরোধিতা করেন তা কখনওই সঠিক পদক্ষেপ হবে না, কারণ, তাঁদের বোঝা উচিত হিন্দি বা অন্যান্য ভাষা অতীতে প্রাপ্য সম্মান পায়নি। সে কারণেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুও। শুক্রবার নাইডু বলেন, আবারও সরকারের পদক্ষেপের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, কেউ কারোর উপরে হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেয়নি।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দি বিষয়ক নির্দেশিকা নিয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তামিলনাড়ু থেকে। তাঁদের বিরোধিতা, যারা হিন্দি বলতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রেও হিন্দি চাপিয়ে সরকার অন্যায় করছেন বলে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বিজেপির জোটসঙ্গী ডিএনকে প্রধান করুণানিধিও।
এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন জয়ললিতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাব ভাষাসমূহ আইন ১৯৬৩-র বিরুদ্ধে।