স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বৃদ্ধিতে সরকার নতুন তহবিল গড়তে পারে, ঘোষণার সম্ভাবনা আসন্ন বাজেটে
২০২২ সালের মধ্যে জিডিপির ২.৫ শতাংশের উচ্চতর জনস্বাস্থ্য ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার একটি নতুন তহবিল গঠন করবে বলে জানা গিয়েছে। এই তহবিলে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই এই তহবিলে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১–এ এই পরিকল্পনাটি ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

করোনা ভাইরাস মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে এ বছর বহু আবেদন জমা পড়েছে। এটি উল্লেখ্য যে ভারতের মোট স্বাস্থ্য ব্যয় জিডিপির ১ শতাংশেরও বেশি, যা বিশ্বের অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় অনেক কম। ২ জন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এই তহবিলটি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের ছত্রছায়ায় তৈরি করা হবে এবং এটি খাতের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি উভয় অগ্রাধিকারের দিকে মনোনিবেশ করবে। সরকারি আধিকারিকদের ইঙ্গিতে জানা গিয়েছে যে নতুন তহবিলের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং বাকী পরিকাঠামোর পাশাপাশি চিকিৎসা,গবেষণা এবং বিকাশের জন্য ব্যয় করা। এই তহবিল আয়ুষ্মান ভারতের মতো সরকারের বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলিকেও সহায়তা করবে।
জানা গিয়েছে, এই তহবিল ও তার বিস্তারিত বিষয় আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবৃত্তির ব্যক্তিগত আয় এবং কর্পোরেট ট্যাক্সের চার শতাংশ নতুন স্বাস্থ্যসেবা তহবিলে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে কম ব্যয় এটা বহু বছরের সমস্যা। ২০১৭ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য পলিসি (এনএইচপি) সুপারিশ করেছিল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের কমপক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ ব্যয় করা উচিত।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস মহামারি দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে। গত বছর বিপুল পরিমাণ ব্যয় হয়েছে শুধু এই মহামারি ঠেকাতে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে আলোকপাত করা খুবই জরুরি বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

প্রশান্ত কিশোরের 'পরামর্শে' প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে অনুব্রত! ২১-এর আগে জল্পনা তুঙ্গে