বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতেই রাষ্ট্রপতি শাসনের খেলা! ফের প্রশ্নে রাজ্যপালের ভূমিকা
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দরদাদরিতে ভেঙে যায় বিজেপি-শিবসেনার দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক। এই অবস্থায় বিজেপি রাজ্যপালকে জানিয়েছিল, তাদের হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই। তারপরই শুরু হল খেলা।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সরকার গড়ার জনাদেশ পেয়েছিল বিজেপি-শিবসেনা জোট। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দরদাদরিতে ভেঙে যায় দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক। এই অবস্থায় বিজেপি রাজ্যপালকে জানিয়েছিল, তাদের হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই। তারা সরকার গড়বে না মহারাষ্ট্রে। এরপরই মহারাষ্ট্রে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা বিজেপিকে সরকারে আনার প্রয়াস বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিজেপি সরকার গঠন থেকে পিছপা হওয়ার পর শিবসেনা ও এনসিপিকে ডাকা হলেও, তাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শিবসেনা ও এনসিপিকে সময় না দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল বিজেপির কাছে সরকার গড়ার রাস্তায় পুনরায় খুলে দেওয়ার রাস্তা।
আর একমাস পর মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া ও নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ এমনভাবেই হল, তাতে ফের প্রমাণ হল বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্যই যেন রাষ্ট্রপতি শাসন হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট সরকার গঠন যখন চূড়ান্ত তখনই রাতারাতি রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করে সাত সকালে শপথ গ্রহণ হল দেবেন্দ্র ফড়নবিশের।
এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ফের একবার শপথ নিলেন। ফলাফ প্রকাশের একমাস পর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হল। কিন্তু রাজ্যপালের ভূমিকা প্রশ্ন চিহ্ন রেখে গেল অনেক। শিবসেনা তো সরাসরি অভিযোগও জানাল, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে রাতারাতি রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে সবাইকে অন্ধকারে রেখে শপথ গ্রহণই প্রমাণ করছে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে কী খেলা চলেছিল। কংগ্রেসও একই দাবি জানায়।
শনিবার মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের শপথ গ্রহণের পর শারদ পাওয়ার টুইট করে জানান, মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নয়। আমরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না বা সমর্থন করি না অজিত পাওয়ারকেও।
বিগত একমাস ধরেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক চরমে ওঠে। একমাস ধরে নানা নাটকীয় কাণ্ডের পর শেষ অঙ্কে চমক অপেক্ষা করছিল। শুক্রবার রাতে যখন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপির সমর্থনে শিবসেনা সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, তখনই রাতারাতি রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের শপথ গ্রহণ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী পদে।