ফিরে এল দানা মাঝির স্মৃতি, এইমসে চিকিৎসার অভাবে মৃত মেয়ের দেহ নিয়ে ২ কিমি হাঁটলেন বাবা
এইমস হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে মৃত ৯ বছরের মেয়ের দেহ নিয়ে ২ কিমি হাঁটতে হল এক ব্যক্তিকে, অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
খোদ পাটনা শহরে যা ঘটল, তা গত বছরের দানা মাঝির কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিল। এইমস হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে মৃত ৯ বছরের মেয়ের দেহ নিয়ে ২ কিমি হাঁটতে হল এক ব্যক্তিকে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাতে ফর্ম নিয়ে এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে ছুটেও মেয়েকে বাঁচাতে পারলেন না জমুইয়ের রাম বালক। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল না কেউই।
গত কয়েকদিন ধরেই পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল জমুইয়ের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর রাম বালকের মেয়ে রোশন কুমারীর। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে পাটনা আসেন রাম বালক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। এইমস হাসপাতালে মেয়েকে দেখাবেন বলে ওপিডি-র দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্মও তোলেন তিনি। কিন্তু নিরক্ষর রাম বালকের কাছে সেই ফর্ম পূরণ করা সম্ভব ছিল না। ফলে এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টার ছুটেও কোনও লাভ হয়নি তাঁর। এরইমধ্যে ওপিডি-র সময় শেষ হয়েছে বলে তাঁকে বুধবার আসতে বলেন হাসপাতালকর্মীরা। এরইমধ্যে রোশনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
এরপরের ঘটনা আরও করুণ। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়ে ২ কিমি হেঁটে স্থানীয় একটি অটো স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসেন তাঁরা। অপরদিকে এই ঘটনায় হাসপাতালের গাফিলতি অস্বীকার করেছেন এইমসের ডিরেক্টর প্রভাত কুমার সিং। তাঁর দাবি, এরকম কোনও ঘটনা তাঁর কানে আসেনি। পাল্টা রাম বালককেই মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তিনি বলেন, এমনও হতে পারে, ওপিডি-র লাইন দেখে ফিরে যাওয়ার সময়েই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
Mujhe shanka h kab hui death? Kahin aisa to nahi ki lambi line dekhke mareez khud chala gaya ho aur raaste mei death ho gyi?: Director AIIMS pic.twitter.com/JEa8kXPLh1
— ANI (@ANI) October 18, 2017
এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কাঠগড়ায় তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। বিহার সরকার গরীবদের প্রতি একেবারেই সংবেদনশীল নয় বলে আক্রমণ শানিয়েছেন লালু।