গেরুয়া ফতোয়া বড়দিনে! গির্জায় গেলে হিন্দুদের ‘মারধরের’ হুমকি বজরং দলের
দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে গেরুয়া আগ্রাসন! বড়দিনে গির্জায় গেলে হিন্দুদের ‘মারধরের’ হুমকী বজরং দলের
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের হাত ধরে 'লাভ জেহাদ' নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশেই। বিধর্মী বিয়ে ও ধর্মান্তকরণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই 'লাভ জেহাদ' বিরোধী আইন প্রণয়নের পথে হাঁটছে একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্য। এবার তারই মাঝে খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মানুষ্ঠান বড়দিনের বিরুদ্ধে 'জেহাদ' ঘোষণা করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল। জারি হয়েছে বিতর্কিত ফতোয়াও।
বড়দিন বা ২৫ ডিসেম্বর র্গিজায় গেলে কিংবা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে বেধড়ক মারধরের হুমকি দিয়েছে অসমের বজরং দল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী এই ফতোয়ায় রীতিমতো শঙ্কিত হিন্দু সমাজের সিংহভাগ মানুষও। এদিকে ফতোয়া জারির পর বিতর্ক তৈরি হলে তারও পাল্টা জবাব দেয় এই ডানপন্থী সংগঠন। বড়দিন উপলক্ষে মেঘালয়ের শিলংয়ে হিন্দু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই কোনোভাবেই এবছর বড়দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না হিন্দুরা। এমনকী তা হিন্দু ধর্মের পরিপন্থী বলেও দাবি করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বড়দিন উদযাপনের বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়াতে দেখা যায় গুয়াহাটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু নাথকে। তাঁর দাবি, "হিন্দু প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণকে কোনোভাবেই মান্যতা দেওয়া যাবে না। খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল মেঘালয়ের শিলংয়ে বিবেকানন্দ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা গোটা হিন্দু সমাজেরই লজ্জা। তাই আমরা কখনওই চাই না কোনও হিন্দু বড়দিনে মেতে উঠুক।" এখানেই না থেমে তিনি আরও জানান, "আমাদের মন্দিরের দিকে চোখ তুলেছে ওরা। বন্ধ করে দিয়েছে দরজা। এরপরও বড়দিনে কোনও হিন্দু যদি গির্জায় যায়, তার কপালে পিটুনি রয়েছে।"
উত্তাপ বাড়ছে পাহাড়ে, শিলিগুড়িতে আজ প্রথম সভা গুরুংয়ের, উত্তেজনায় ফুটছেন বিমলপন্থীরা