এক ছাদের তলায় পালিত মহরম আর গণেশ চতুর্থী! অনন্য উদযাপন বিজেপির শাসিত রাজ্যে
গণেশ চতুর্থী আর মহরম পালিত হল এক ছাদের তলায়। স্থানীয় মাানুষের এই সফল উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে কর্নাটকের হুবলিতে।
মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থী আর মহরম পালিত হল এক ছাদের তলায়। স্থানীয় মাানুষের এই সফল উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে কর্নাটকের হুবলিতে। যখন গণেশ চতুর্থী আর মহরম একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের অধিক সতর্ক থাকতে হয়, সই সময় হুবলির বিডনাল গ্রামে প্রশাসনের কর্তারা কিন্তু ছিলেন রিল্যাক্স মুডেই। তারা আগে থেকেই জানতেই দুই উৎসব একসঙ্গে পড়লেও, সেখানে কোনও গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনাই নেই।
হুবলির বিডনাল গ্রামের বাসিন্দারা এক ছাদের তলার পালন করছেন গণেশ চতুর্থী এবং মহরম। হিন্দুদের তরফ থেকে গণেশের বিরাট মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। সেই একই প্যান্ডেলে মুসলিমরা তাদের মহরম উদযাপন করেন। হুবলির বিডনাল গ্রামের ঘটনা সারা দেশে খুব কমই চোখে পড়ে।
কয়েক
বছর
আগে
গ্রামবাসীরা
তৈরি
করেছিলেন
শ্রী
গজানন
মাট্টু
মহরম
উৎসব
সমিতি।
যার
অধীনে
দুই
সম্প্রদায়ের
দুই
উৎসব
একসঙ্গে
উদযাপন
হয়ে
থাকে।
সমিতির
সভাপতি
মোহন
আসুন্দি
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছেন,
এটা
একটা
অনন্য
উদযাপন,
যা
৩০
থেকে
৩৩
বছরে
ফিরে
আসে।
তিনি
বলেছেন,
প্রথমবার
১৯৮৫
সালে
গ্রামে
গণেশ
চতুর্থী
আর
মহরম
একসঙ্গে
পালন
করা
হয়েছিল।
তারপর
হল
এবার।
দুই
সম্প্রদায়ের
মানুষ
একসঙ্গে
চাঁদা
তুলে
প্রস্তুতি
নিয়েছিল।
এই
গ্রামে
উৎসবে
কোনও
পুলিশ
মোতায়েন
থাকে
না
বলেও
জানিয়েছেন
তিনি।
গ্রামবাসীরাও গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, বিডনালে বছরের পর বছর ধরে সাম্প্রদায়িক হানাহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।
সমিতির অপর সদস্য শরিফসাফ নাদাব বলেছেন, মহরমের সঙ্গে গণেশ চতুর্থী পালনের কথা। পুরোহিত যখন পুজোর মন্ত্র পড়েন, সেই সময় মুসলিম ধর্মগুরু মহরমের প্রার্থনা করেন।
[আরও পড়ুন :বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা! কংগ্রেস ছাড়লেন উর্মিলা মাতণ্ডকর]
হুবলির কাসাবাপেট থানার ইনস্পেক্টর শ্যামরাজ সজ্জন বলেছেন, সেখানে দুই সম্প্রদায়ের একসঙ্গে বসবাসের কথা। সেখানকার কোনও উৎসবেই কোন নিরাপত্তা দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ৪০ থেকে ৫০ বছরে এলাকায় কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মোদী-অলির হাত ধরে দক্ষিণ এশিয়া পেল প্রথম সীমান্তপার পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন]