কাশির ওষুধ নিয়ে হু'য়ের বার্তা ভয়ঙ্কর! মিসিং লিঙ্ক খোঁজা দরকার বলছেন ইনি
গাম্বিয়ায় বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়! আর এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাশির সিরাপ দায়ী করা হয়েছে। আর এরপরেই সতর্কতা জারি করেছে WHO। তা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন এক বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, এর ম
গাম্বিয়ায় বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়! আর এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাশির সিরাপ দায়ী করা হয়েছে। আর এরপরেই সতর্কতা জারি করেছে WHO। তা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন এক বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, এর মধ্যে কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে।
সেটি তদন্ত করে খুঁজে বার করা দরকার বলে মনে করছেন ওই বিশেষজ্ঞ।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে। একই সঙ্গে শ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসাবে হরিয়ানার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি চারটি কাফ সিরাপকে দায়ী করেছে হু। তাঁদের দাবি, এটি বিষাক্ত এবং নিম্নমানের। ডায়েথিলিন গ্লাইসল এবং ইথিলিন গ্লাইসলের মতো জিনিস অনেক বেশি পরিমানে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত। বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে কড়া মনোভাব নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সিনিয়র ফার্মাকোলজিস্ট এবং স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটি অন মেডিসিনস (এসএনসিএম) এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ওয়াই কে গুপ্ত জানাচ্ছেন, পুরো বিষয়টির মধ্যে একটা মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। তা খুঁজে বের করা দরকার বলে জানাচ্ছেন প্রফেসর ওয়াই কে গুপ্ত।
শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টিওর গভীরে গিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন ওই বিশেষজ্ঞ। প্রথম মৃত্যু যে এই কারণেই হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। ওয়াই কে গুপ্ত'র মতে, জুলাইতে প্রথম কিন্তু নোট করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর DCGI-এর কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটা বার্তা আসে। আর এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। ছুটি থাকা সত্ত্বেও পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
সিনিয়র ফার্মাকোলজিস্ট এবং স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটি অন মেডিসিনস (এসএনসিএম) এর ভাইস চেয়ারম্যানের মতে, নতুন ওষুধগুলির ক্ষেত্রে DCGI অনুমোদিত হয়। কিন্ত্য যেখানে উত্পাদন এবং বিক্রয় হয় এক্ষেত্রে লাইসেন্সগুলি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। স্থানীয় ভাবে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
তবে মিসিং লিঙ্কের বিষয়ে কি বীঝাতে চাইছেন এই বিশেষজ্ঞ? আর তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওয়াই কে গুপ্ত বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করেছিল। আর তাতে মাত্র চারটিতে ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া গিয়েছিল। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা উচিৎ বলে জানাচ্ছেন তিনি।
প্রফেশরের মতে, পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার পরেই আমদানি কারক দেশ ওষুধ আমদানি করে থাকে। ফলে পুরো বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করছেন তিনি।