গান্ধীদের বিশেষ বার্তা দিতেই ফের বৈঠকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা! আলোচনায় কী উঠে আসল?
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে কংগ্রেসের অন্দরের ক্ষোভের আগুন কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ তথা জি-২৩ নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেছিলেন সেই নেতারা।
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে কংগ্রেসের অন্দরের ক্ষোভের আগুন কার্যত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ তথা জি-২৩ নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেছিলেন সেই নেতারা। আর সেখানে নেতাদের বক্তব্য, দলের মধ্যে কোনও ফাটল তাঁরা চান না।
তবে, তাঁরা চান গান্ধী পরিবার যাতে বুঝতে পারে, যে পরিবর্তন জরুরি। সূত্রের খবর, জি-২৩ নেতারা চাইছেন সারা দেশের সেই সব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে যারা তাঁদের মতো একই মতে বিশ্বাসী। এ দিন সন্ধ্যায় বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা।
উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবল সহ বেশ কয়েকজন। এর আগে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথম দফার যে বৈঠকে বসেছিল জি-২৩ নেতারা, সেখানে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাহুল গান্ধীর ওপর যে ভরসা নেই, এমনটাই বলেছিলেন নেতারা।
কিন্তু এ দিনের বৈঠকে আর তেমন সুর শোনা যায়নি। বুধবার নির্বাচনের ফল সংক্রান্ত পর্যালোচনা নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসে কংগ্রেস। সেখানে আলোচনায় নেতাদের মত ছিল, সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। জি-২৩ সদস্য শঙ্কর সিং বাঘেলাও ছিলেন সেই বৈঠকে। তিনি সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা বলে সরব হয়েছিলেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, আমাদের রাহুল গান্ধীর ওপর কোনও ভরসা নেই। নতুন নেতৃত্ব এসে হাল ধরুক। আমরা কংগ্রেসের ভালো চাই। এরই মধ্যে ভূপেন্দর সিং হুদার সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল গান্ধী। আর সেই সাক্ষাতে নাকি হুদা রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছেন, যে তাঁরা দলের মধ্যে কোনও ভাঙন চান না।
জি-২৩ নেতারা যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন, কংগ্রেসের উন্নতি হবে, যদি সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিক্ষুব্ধ নেতারা কখনই কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে না। তাদের দাবি, বিজেপিকে আটকাতে হলে কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। ২০২৪-কে সামনে রেখে কংগ্রেসের খোলনলচে যাতে বদলে ফেলা হয়, তেমনটাই চাইছেন এই নেতারা।
রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি না হয়েও কী ভাবে দলের সব সিদ্ধান্ত নেন, সেই প্রশ্নও সম্প্রতি তুলেছেন কপিল সিব্বল। এরই মধ্যে পাঁচ রাজ্যের প্রদেশ সভাপতিদের পদত্যাগ করতে বলেছেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁরা ইতিমধ্যে পদত্যাগও করেছেন। সাম্প্রতিক নির্বাচগুলির মধ্যে কংগ্রেস সবথেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে পঞ্জাবে। ক্ষমতায় ফেরা হয়নি কংগ্রেসের।
শুধু তাই নয়, নভজ্যোত সিং সিধু সহ একের পর এক হেভিওয়েট প্রার্থী হেরে গিয়েছেন। সরকার গঠন করছে আম আদমি পার্টি। তুলনামূলক নব্য একটি দলের কাছে এভাবে হার, অস্বস্তি বাড়িয়েছে হাত শিবিরের।