জিএসটি লাগু হলে কোন কোন স্তরে করের টাকা কাটবে সরকার, জেনে নিন
চারটি স্তরে জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর অনুযায়ী পণ্যের জন্য কর নেবে কেন্দ্র। সবচেয়ে কম হল ৬ শতাংশ ওবং তারপরে রয়েছে ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ কর। এর পাশাপাশি বিলাস দ্রব্যের জন্যও অতিরিক্ত কর নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ধার্য হয়েছে ১৮ শতাংশ। এর পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা যেমন পরিবহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম ৬ শতাংশ কর ধার্য হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে করের সীমা ১৮ শতাংশ রাখা হয়েছে। বিলাস পণ্য যেমন গাড়ি অথবা পানমশলা, গুটখা, সিগারেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর ধার্য করা হয়েছে।
মান্যতা দেবে জিএসটি কাউন্সিল
জিএসটি-র নির্ণায়ক সংস্থা বা জিএসটি কাউন্সিল যাতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং প্রতিটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা, তাঁরাই করের পরিমাণ ধার্য করবেন যাকে পরে মান্যতা দেবে সংসদ।
একটাই কর চালু
জিএসটির ফলে এখন আর এক রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে অন্য রাজ্যে ঢুকলেই করের পরিমাণ ওঠানামা করবে না। একটাই বাজার থাকবে ভারতে।
চার স্তরের কর ব্যবস্থা
সেজন্যই মোট ৪টি করের স্তর ভাগ করা হয়েছে। ৬, ১২, ১৮ ও ২৬ শতাংশ। পণ্য অনুযায়ী তার কর ধার্য হবে।
খাদ্যপণ্য আওতার বাইরে
মুদ্রস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্যদ্রব্যকে এর আওতায় রাখা হবে না। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এফএমসিজি পণ্য বা বিলাসবহুল পণ্যগুলিতেই সর্বাধিক করের বোঝা চাপবে। তবে তা বর্তমানের ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২৬ শতাংশে নামবে।
কেরলের দাবি
কেরলের মতো রাজ্য বিলাস পণ্যে সর্বাধিক কর ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সবচেয়ে কম কর চাপানোর আর্জি জানিয়েছে। এখন এটাই সবার আগে নির্ণয় করতে হবে।
কেন্দ্র ভর্তুকি দেবে
আপাতত প্রথম পাঁচবছর করের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি যে লোকসানের মুখ দেখবে তা কেন্দ্র ভর্তুকি দেবে বলে জানানো হয়েছে। তারও পরে আর ভর্তুকি দেওয়া হবে কিনা সেটা এখনও বিচার্য বিষয়।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অধিকার খর্ব
কিছু রাজ্য তাদের প্রদেশে ব্যবসা চালানো ১১ লক্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বিচার করার কথা বলেছে। এতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অধিকার খর্ব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবিষয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, কেন্দ্রের আধিকারিকেরাই বিষয়টি দেখভাল করবেন।
মতৈক্য পৌঁছতে চাইছে কেন্দ্র
করের স্তর নিয়ে যাতে আগামী মাসে সংসদে পেশ করার সময়ে কোনওরকম বৈরিতার পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য কেন্দ্র এই বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছতে চাইছে।
প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে দলগঠন
জানা গিয়েছে, যদি কোনওভাবেই মতৈক্যে পৌঁছনো সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কয়েকটি রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে একটি দল গঠন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।