নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিরোধিতায় ফরওয়ার্ড ব্লক
এ বার নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে, এই জল্পনা শুরু হতেই ফরওয়ার্ড ব্লকে মতপার্থক্য দেখা দেয়। একাংশ বলেন, ভারতরত্ন দেওয়া হলে আপত্তি নেই। কিন্তু যেন 'মরণোত্তর' ভারতরত্ন দেওয়া না হয়। বাকিরা বরং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মতভেদ ঘুচিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতারা বলেন, ভারতরত্ন না দিয়ে বরং ২৩ জানুয়ারিকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। দলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস বলেছেন, "নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়া মানে তাঁর অবমাননা। অন্যদের সঙ্গে এক বন্ধনীতে তিনি কী করে থাকবেন? দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ওঁর অবদানের সঙ্গে কারও তুলনাই হয় না। নেতাজির অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হলে তাঁর জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হোক।"
তিনি আরও বলেন, "অটলবিহারী বাজপেয়ী নিয়োগ করেছিলেন মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশন। সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৯৮০টি গোপন ফাইল রয়েছে বলে জানি। সেইগুলিতে নেতাজিকে নিয়ে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। ফাইলগুলি জনসমক্ষে আনা হোক। লালকেল্লায় একটা আইএনএ মেমোরিয়াল তৈরি করা হোক। তবেই এই মানুষটিকে যোগ্য সম্মান জানানো হবে।"
প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ১৯৪৬ সালের বিমান দুর্ঘটনায় 'মৃত' প্রমাণ করতে জওহরলাল নেহরু বা ইন্দিরা গান্ধী চেষ্টার কসুর করেননি। কিন্তু অটলবিহারী বাজপেয়ী ক্ষমতায় এসে বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গড়েছিলেন। সেই কমিশন বিস্তর অনুসন্ধানের পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল, বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্র বসু মারা যাননি। ২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী ফের ক্ষমতায় ফিরলে হয়তো নেতাজির অন্তর্ধান সম্পকে চূড়ান্ত কিছু জানা সম্ভব হত। কিন্তু সেই বছর লোকসভা ভোটে জিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেই খারিজ করে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কমিশনের রিপোর্ট।