১ বছর পর মুক্তির স্বাদ পেলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, গৃহবন্দি দশা কাটল মেহবুবা মুফতির
১ বছর পর মুক্তির স্বাদ পেলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, গৃহবন্দি দশা কাটল মেহবুবা মুফতির
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাঁকে মুক্ত রাখলে অশান্তি ছড়াতে পারে এই দাবি করেই মোদী সরকার মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা সহ একাধিক নেতাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগেই ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লা মুক্তি পেলেও মেহবুবা মুফতিকে ছাড়া হয়নি। অবশেষে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি থাকার পর মুক্তি দেওয়া হল মেহবুবা মুফতিকে।
মুক্ত মেহবুবা
১ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে মুক্তি দেওয়ার হয় জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে। জম্মু-কাশ্মীরে সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল টুইট করে মুফতির মুক্তির খবর জানান। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট থেকে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছিল রাজনৈতিক মহল।
মুফতির মুক্তির দাবিতে মামলা
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরেই সেখানকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা সহ একাধিক রাজনৈিতক নেতাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল মোদী সরকার। তার মধ্যে মেহবুবা মুফতিও ছিলেন। তাঁর মেয়েকে পর্যন্ত দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদ জানিয়ে মায়ের মুক্তির দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেহবুবা মুফতির মেয়ে।
কেন্দ্রের সাফাই
মেহবুবার মুক্তির দাবিতে মামলায় কেন্দ্রের কাজে জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার প্রেক্ষিতে আদালতকে মোদী সরকার জানায় জন সুরক্ষা আইনের আওতায় কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। এই আইনে যেকোনও ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দি রাখা যায়। এই রাজনৈতিক নেতারা মুক্তি পেলে রাজ্যে অশান্তি ছড়াবে এই কারণেই তাঁদের বন্দি রাখা হয়েছে।
আবদুল্লাদের মুক্তি
কয়েকদিন আগেই ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন দুই নেতা। তাঁরা রীতিমতো আক্রমণ করেছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। ফারুক আবদুল্লা দাবি করেছেন চিনের সাহায্য নিয়ে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবেন তিনি। অন্যদিকে ওমর আবদুল্লা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।