বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের প্রয়ান
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ টানা ১৫ বছরতিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ টানা ১৫ বছর তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। প্রশাসনে তাঁ দক্ষতা ছিল নজরকাড়া। সুষমা স্বরাজের পরে তিনিই দিল্লির দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের রাজ্যপাল পদেও ছিলেন তিনি।
|
কংগ্রেসের শোক
শীলা দীক্ষিতের প্রয়ানে শোকপ্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
|
রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা
দেশের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
|
প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা
শীলা দীক্ষিতের প্রয়ানে তিনি গভীর ভাবে মর্মাহত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজনীতিতে শীলা দীক্ষিত
দিল্লিতে পরপর তিনবার তিনি টানা জয়ী হয়ে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন। ভারতীয় রাজনীতি শীলা দীক্ষিতের পা রাখাটা ছিল খানিকটা কাকতালীয়। শ্বশুর উমাশঙ্কর দীক্ষিত ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী। পরে ইন্দিরা গান্ধী ক্যাবিনেটের মন্ত্রীও ছিলেন। উমাশঙ্কর দীক্ষিত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালও ছিলেন। সেই সময় শীলা দীক্ষিত তাঁকে সাহায্য করতেন। শীলা দীক্ষিতকে রাষ্ট্র সংঘে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত ১৫ তন লোকসভায় পূর্ব দিল্লির সাংসদ ছিলেন।
১৯৩৮ সালের ৩১ মার্চ পঞ্জাবের কাপুরথালায় পঞ্জাবী ক্ষেত্রী (কাপুর) পরিবারে জন্ম। দিল্লির কনভেন্ট অফ জেসাস অ্যান্ড মেরি স্কুলে পড়াশোনা। পরবর্তী সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেন।
১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ উত্তর প্রদেশের কনৌজ কেন্দ্র থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯-এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। ১৯৯৮-র নির্বাচনে তিনি পূর্ব দিল্লি থেকে বিজেপির লালবিহারী তিওয়ারিকে পরাজিত করেন। পরে অবশ্য ওই বছরেই তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন।
২০১০
সালে
কমনওয়েলথ
গেমসের
দুর্নীতিতে
তাঁকে
অভিযুক্ত
করা
হয়।
সিএজির
তরফে
অনিয়মের
জন্য
তাঁকে
দোষী
সাব্যস্ত
করা
হয়েছিল।
২০১৩-র
ডিসেম্বর
ভোটে
হেরে
দিল্লির
মুখ্যমন্ত্রী
পদে
ইস্তফা
দেন।
তাঁকে
২০১৪-র
মার্চে
কেরলের
রাজ্যপাল
হিসেবে
নিয়োগ
করা
হয়।
মোদী
সরকার
ক্ষমতায়
আসার
পর
তিনি
ইস্তফা
দিতে
বাধ্য
হন।
২০১৭
সালে
উত্তরপ্রদেশ
বিধানসভা
নির্বাচনে
তাঁকে
মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী
ঘোষণা
করে
ভোটে
লড়াই
করেছিল
কংগ্রেস।
২০১৯-এর
১০
জানুয়ারি
তাঁকে
দিল্লি
প্রদেশ
কংগ্রেস
কমিটির
সভাপতি
করা
হয়েছিল।