মোদীর প্রশংসায় কংগ্রেসের রোষানলে, বহিষ্কৃত বিধায়কের বিজেপি-যোগের জল্পনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার জন্য কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার জন্য কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা এপি আবদুল্লাহকুট্টির কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় দল। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়, কুট্টি বিজেপির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন বলেই ওই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন।
১০ বছর পর পুনরাবৃত্তি
উল্লেখ্য, আবদুল্লাহকুট্টির এর আগেও একবার বহিষ্কৃত হয়েছিলেন একই দোষে দুষ্ট হয়ে। সেবার তিনি সিপিএমের সাংসদ ছিলেন। ২০০৯ সালে সিপিএম তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মোদির প্রশংসা করার অপরাধে। কেরালার কান্নুরের সংসদ সদস্য তারপর রাতারাতি কংগ্রেসে যোগ দেন। তারপর তিনি পর পর দুই মেয়াদকাল কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছেন। এবার তিনি কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়ে কোন দলে যোগ দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ
লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন কুট্টি। এরপর কংগ্রেস তাঁকে শোকজ করে। শোকজের উত্তরে অবশ্য সন্তুষ্ট হয়নি কংগ্রেস। উল্টে তিনি কংগ্রেসের নেতাদের উপহাস করেন এবং ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। তারপরই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি জানান, বিজেপির যোগদান নিয়ে তিনি কিছুই ভাবেননি।
ফেসবুক পোস্টে জল্পনা
২৯ মে ফেসবুক পোস্টে তিনি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ লোকসভা নির্বাচনে চিত্তাকর্ষক বিজয়লাভ করেছে। মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ গ্রহণ করেই মোদীজি সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর স্মার্ট সিটি, স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও উজ্জ্বল যোজনা প্রকল্পগুলিরও প্রশংসা করেন তিনি।
কংগ্রেসের যুক্তি, বহিষ্কৃতের খণ্ডন
কেরালা কংগ্রেসের সভাপতি রামচন্দ্রন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, আমরা তাঁর ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি হাস্যকর যুক্তি সাজিয়েছিলেন। তারপরই তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। আবদুল্লাহকুট্টি বলেন, আমি কি ভুল করেছি? সময় প্রমাণ করবে আমি ঠিক আছি।