First Hybrid flying car: যানজট এড়িয়ে ভারতের আকাশেও এবার উড়বে ফ্লাইং কার! রইল সেই গাড়ির First Look
প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান যখন তরতর করে এগোচ্ছে তখন মানুষের সুবিধা দেখাটাই মূল লক্ষ্য হয়ে উঠছে। প্রত্যেকদিন যানজটের মুখোমুখি হওয়ার লড়াই এবার সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। এই বিষয়ে রীতিমতো আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান যখন তরতর করে এগোচ্ছে তখন মানুষের সুবিধা দেখাটাই মূল লক্ষ্য হয়ে উঠছে। প্রত্যেকদিন যানজটের মুখোমুখি হওয়ার লড়াই এবার সম্ভবত শেষ হতে চলেছে।
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশই উড়ন্ত গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এবার সেরকমই গাড়িতে ওড়ার অভি অভিজ্ঞতা হতে পারে আমার আপনারও। ভারতের আকাশেও এবার উড়বে ফ্লাইং কার।
না নিছক পরিকল্পনা নয়, এই বিষয়ে রীতিমতো আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারতের আকাশে এই ফ্লাইং কার!
অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, ভিনতা এরো মবিলিটি নামে এক সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। ফ্লাইং কার এর কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সিন্ধিয়া আরও জানিয়েছেন যে একবার ভারতের আকাশে এই ফ্লাইং কার উড়তে শুরু করলে, তাতে যেরকম মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন, তেমনই পণ্য পরিবহন করাও সম্ভব হবে। এছাড়া চিকিৎসা সংক্রান্ত জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ফ্লাইং কার। সিন্ধিয়া জানিয়েছেন ভিনতা এরো মবিলিটি সংস্থার তরুণ গবেষক দল তাকে এই ফ্লাইং কার এর কনসেপ্ট সম্পর্কে বুঝিয়েছেন।
গাড়িতে থাকবে কোয়াড রোটর সিস্টেম
এই ফ্লাইং কার যারা তৈরি করছে সেই ভিনতা এরো মবিলিটি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একবার এই গাড়ি তৈরি হয়ে গেলে এই গাড়ি দুজন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। আরও জানানো হয়েছে যে, এটি হবে একটি হাইব্রিড ইলেকট্রিক কার। জানানো হয়েছে এই গাড়িতে থাকবে কোয়াড রোটর সিস্টেম। থাকবে আটটি প্রপেলার। বায়োফুয়েল দিয়ে এই গাড়ি চালানো হবে। আরও জানানো হয়েছে যে এই ফ্লাইং কার মোট ১৩০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। এই গাড়ির গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। একটানা ৬০ মিনিট অর্থাৎ এক ঘন্টা আকাশে উঠতে পারবে এই গাড়ি।
সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে এটি
রিফুয়েলিং না করলে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে এটি। আর এমনিতে এই গাড়ির ওড়ার ক্ষমতা ৩০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায়। নির্মাতারা জানিয়েছেন যদি একটা মোটর খারাপ হয়ে যায় তাহলে অন্য প্রপেলারের সাহায্যে অবতরণ করতে পারবে ওই গাড়ি। রাস্তায় যে ভাবে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে আর যানজটের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে তাতে এই বিকল্প দেশকে নতুন দিশা দেখাতে পারবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই গাড়িকে ফ্লাইং কার বলা হলেও এগুলি রাস্তাতেও চলতে পারবে অর্থাৎ সড়কপথে ও আকাশপথে সমান ভাবে চলতে পারবে এই গাড়ি ।
সময় বাঁচবে অনেকটাই
এই গাড়িতে যাতায়াত করা সম্ভব হলে সময় বাঁচবে অনেকটাই। রাস্তাঘাটেও গাড়িঘোড়ার ভিড় কমবে। বিদেশের একাধিক সংস্থা এই ফ্লাইং কারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাপ ক্যাব সংস্থা উবার। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা হুন্ডাই ফ্লাইং কার আনার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে। ওই সংস্থাও চায় যাতে শহরের মধ্যে যাতায়াত আরও সুবিধাজনক করা যায়। উল্লেখ্য এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বেই ফ্লাইং কার নিয়ে গবেষণা চলছে। বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা এই নিয়ে কাজ করছেন। আবার বেশ কয়েকটি সংস্থা ফ্লাইং কারের বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে ফ্লাইং কার উড়িয়েও ছেন। এবার সেই গবেষণাতে সামিল ভারতও। রীতিমত স্বপ্ন দেখাচ্ছে এই সংস্থা।