শনিবারই হতে পারে উদ্ধব সরকারের ফ্লোর টেস্ট
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছে। এরই সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা মারাঠা রাজনৈতিক নাটকের আপাতত অবসান ঘটে।
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছে। এরই সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা মারাঠা রাজনৈতিক নাটকের আপাতত অবসান ঘটে। এরই মাঝে শনিবার সেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ফ্লোর টেস্ট হতে চলেছে বিধান সভায়। সরকারি ভাবে রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি সেনা জোটকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা বলেছিলেন। তবে আগেভাগেই সেই ফ্লোর টেস্ট সম্পন্ন করতে পারে আঘাড়ি সরকার।
সরকার গঠনেও ঝুলে মন্ত্রক বন্টণ
দিকে সরকার গঠন হয়ে গেলেও মন্ত্রক বন্টণের বিষয়ে এখনও কোনও খোলাশা করেনি জোট। বৃহস্পতিবার সেই রাজ্যের ১৯তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন উদ্ধব। তাঁর সঙ্গে তিন দলেরই দুই জন করে শপথ নেন। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে গতকাল শপথগ্রহণ শেষে ক্যআবিনেটের বৈঠকে দেখা যায় অজিত পাওয়ারকে। যদিও এদিন তিনি মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেননি। তবে সূত্রের খবর শেষ পর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অজিতই। যেরকম জানা যাচ্ছে, শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ১৬ জন মন্ত্রী নেওয়া হবে, এনসিপি থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ ১৫ জন, কংগ্রেস থেকে ১৩ জন। এদিকে স্পিকার পদ পেতে পারে কংগ্রেস।
মাঝে ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন ফড়নবীশ
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। কিন্তু তার পর তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও কেউ সরকার গড়তে না পারায় ১২ নভেম্বর সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শেষ পর্যন্ত শনিবার দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তবে শনিবার সকাল ৮টায় সেই শপথ গ্রহণের আগে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের উপর থেকে। দেবেন্দ্রের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন এনসিপির অজিত পাওয়ার।
অজিতের সঙ্গে পদত্যাগ করতে হয় ফড়নবীশকেও
তবে এর ৮০ ঘণ্টা পরেই দেবেন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করেন অজিত পাওয়ার। এর কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এর মাঝে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বল গড়ায় সুপ্রিমকোর্টে। বিধায়কদের নিয়েও হয়েছে বিস্তর নাটক তবে এসবের শেষে গতকাল শিবাজি পার্কে শপথ নেন আঘাড়ি সরকারের ৬ মন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
আঘাড়ি জোটের সংখ্যার হিসাব
২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ১৪৫টি আসন। সেনা-বিজেপি জোট সেই সংখ্যা খুব সহজে পার করলেও সরকার গঠন ঝুলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে টানাটানির জেরে। এদিকে নির্বাচনে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৪৪টি ও এনসিপি-র ঝুলিতে ৫৪টি। এর পর সেনার তরফে সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস ও এনসিপির কাছে যায় শিবসেনা। শএষ পর্যন্ত নিজেদের রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এক সঙ্গে এসে সরকার গঠন করে শিবসেনা।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তৃণমূল নয় বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন, প্রমাণ দিল উপনির্বাচনের ফল