মোদীর জন্য নিরাপত্তায় মোড়া বিশেষ এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান বিমান অবতরণ করল দেশে
রাষ্ট্রপতি,
উপ–রাষ্ট্রপতি
ও
প্রধানমন্ত্রীর
সুরক্ষার
জন্য
বৃহস্পতিবারই
ভারতে
এসে
পৌঁছেছে
ভিভিআইপি
এয়ারক্রাফ্ট
'এয়ার
ইন্ডিয়া’।
সরকারের
পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়েছে
যে,
'দেশের
ভিভিআইপিদের
জন্য
স্পেশাল
এক্সট্রা
সেকশন
ফ্লাইট
(এসইএসএফ)
এয়ারক্রাফ্ট
বৃহস্পতিবারই
দিল্লি
আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে
অবতরণ
করে।’
অগাস্টের প্রথমদিকে এয়ার ইন্ডিয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দল, সুরক্ষা আধিকারিক ও শীর্ষ সরকারি কর্তারা আমেরিকায় উড়ে গিয়েছিলেন এসইএসএফ বা ভিভিআইপি এয়ারক্রাফ্ট এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের ডেলিভারি নিতে। সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'জাতীয় বাহক এয়ার ইন্ডিয়ার শীর্ষ কর্তাদের যৌথ দল, ভিভিআইপির সুরক্ষা আধিকারিক ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা আমেরিকায় ভিভিআইপির বিমান ওয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানকে নিতে গিয়েছিলেন।’
এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানে রয়েছে আধুনিক ও সুরক্ষিত যোগাযোগ পদ্ধতি যা মাঝ–আকাশেও অডিও ও ভিডিও কার্যক্রম করার অনুমতি দেয় হ্যাকিং বা রেকর্ড হওয়ার কোনও চিন্তা ছাড়াই।
জানা গিয়েছে, এতদিন বিদেশ সফরের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা এয়ার ইন্ডিয়ার জাম্বো বিমান বি–৭৪৭ বিমান ব্যবহার করতেন, যার বিকল্প হল বি–৭৭৭, যেটি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান নামে পরিচিত। এয়ার ক্রাফ্টের ভেতরের নকশা খুবই আকর্ষণীয়। সূত্রের খবর, 'এয়ার ক্রাফ্টের ভেতরে রয়েছে ভিভিআইপিদের জন্য বড় স্যুট বা কেবিন, ছোট মেডিক্যাল সেন্টার। সাংবাদিকদের বসার জন্যও জায়গা রয়েছে। পেছনের আসনগুলি ইকোনমি ক্লাসের ও বাকি আসনগুলি বিজনেস ক্লাসের। বি–৭৭৭ এয়ার ক্রাফ্ট ১৭ ঘণ্টা একটানা উড়তে পারে।’
এয়ার ইন্ডিয়া এই এয়ার ক্রাফ্টটি ভারতীয় বায়ু সেনার রক্ষণা বেক্ষণের অধীনে দিয়ে দেবে। এরপর নতুন বিমানটির ডি–রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং নতুন করে এসওপিতে রেজিস্ট্রেশন হবে কারণ এই বিমানটি ভারতীয় বায়ু সেনার অধীনে পরিচালিত হবে।
এয়ার ইন্ডিয়ার চালকই এই বিমানটি আপাতত পরিচালনা করবেন যতদিন না আইএএফের পাইলট এই বিমান ও তার সুরক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং দল এই বিমানটি রক্ষণা বেক্ষণ করবে। ৩০০জন যাত্রী বসতে পারবে এই বিমানে।
আকাশপথে নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদীদের হামলা থেকে ভিভিআইপিদের সুরক্ষা দিতে এমন নিরাপত্তার চাদরে মোড়া আুনিক এয়ার ক্রাফ্টের ভাবনা আগেই ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। আমেরিকার বোয়িং–৭৭৭ প্রযুক্তির ধাঁচেই নতুন এয়ারক্রাফ্ট তৈরির জন্য বোয়িংকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১৩৩০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল আমেরিকার সঙ্গে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে সেই অত্যাধুনিক এয়ার ক্রাফ্ট এসে পৌঁছায় দেশে।