যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশের মাটি ছুঁলেন ২১৯ ভারতীয়, জানালেন অভিজ্ঞতা
ইউক্রেনে রুশ হানায় আটকে পড়া ২১৯ ভারতীয় নাগরিক নিরাপদে মুম্বই পৌঁছলেন। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ইউক্রেনে রুশ হানায় আটকে পড়া ২১৯ ভারতীয় নাগরিক নিরাপদে মুম্বই পৌঁছলেন। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশপথ বন্ধ থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরে আসে নির্বিঘ্নে।
মুম্বইয়ে নামার পর ভারতীয়দের স্বাগত জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, "এই সঙ্কটের শুরু থেকেই, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনে আটকে পড়া প্রত্যেক ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা। ২১৯ জন পড়ুয়া ফেরত এসেছে। ভারতে ফিরে আসা প্রথম ব্যাচ এটা। দ্বিতীয়টি শীঘ্রই দিল্লিতে পৌঁছবে। আমরা সবাইকে না ফেরানো পর্যন্ত থামব না। এবার সবার বাড়ি ফেরার বন্দোবস্তও হবে।
শনিবার রাতে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ইউক্রেন থেকে আগত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য একটি বিশেষ করিডোর ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসারে প্রত্যাবর্তনকারীদের বাধ্যতামূলক তাপমাত্রা স্ক্রিনিং করানো হয়।
প্রত্যাবর্তনকারীদের করোনা টিকার শংসাপত্র বা আগমনের সময় একটি আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ রিপোর্ট রয়েছে কি না পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদি কারও কাছে দুটির একটিও না থাকে, তবে বিমানবন্দরে তাদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। সিএসএমআইএর মুখপাত্র বলেছেন, পরীক্ষার খরচ বিমানবন্দর বহন করবে।
এদিকে, দ্বিতীয় ফ্লাইটটি শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে যাত্রা করে এবং ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বুখারেস্টে নামে। তারপর ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকরা যারা সড়কপথে ইউক্রেন-রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছেছিল তাদের ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তারা বুখারেস্টে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে তোলা হয়। তারপর সেই বিমানও ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। তারপর থেকে শনিবার পর্যন্ত অবিরাম যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হানা এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে থাকেন রুশ সেনারা। এই অবস্থায় জীবন হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষায় করতে থাকেন।
এরই মধ্যে ভারত থেকে দুটি বিমান পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। পাশাপাশি ইউক্রেনে আটকে থারা ভারতীয় পড়ুযা ও নাগরিকদের জানানো হয় প্রতিবেশী চার দেশের সীমান্তে চলে আসতে। সেইমতো বহু ভারতীয় জীবন হাতে করে ইউক্রেনের বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দিতে শুরু করে। তাদের মধ্যে ২১৯ জন ফিরলেন একটি বিমানে। সেই বিমান পৌঁছেছে মুম্বইয়ে। এবার দিল্লিতে আরও একটি বিমান পৌঁছনোর কথা।