ফের সনিয়ার জামাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর! নির্বাচনী মরসুম বলে কটাক্ষ রবার্টের
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর জামাই তথা ব্যবসায়ী রবার্ট ভদ্রা এবং হরিয়ানার পূর্বতম মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর জামাই তথা ব্যবসায়ী রবার্ট ভদ্রা এবং হরিয়ানার পূর্বতম মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০৮-এর জমি প্রতারণা মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, গুরগাঁও-এর ডিএলএফ এবং ওঙ্কারেশ্বর প্রোপার্টিসের বিরুদ্ধেও।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস হুড়া এবং ভদ্রার বিরুদ্ধে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪২০( প্রতারণা), ৪৬৭ ( মূল্যবান জিনিসপত্রের জালিয়াতি), ৪৬৮ ( প্রতারণার উদ্দেশে জালিয়াতি), ৪৭১ ( জাল নথিকে আসল হিসেবে ব্যবহার)।
এফআইআর নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন রবার্ট ভদ্রা। তিনি বলেছেন, এটা নির্বাচনে মরশুম। পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইসব দিক থেকে নজর ঘোরাতেই সরকার এই কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সে বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি একটি পুরনো ইস্যু বলেও মন্তব্য করেছেন সনিয়া গান্ধীর জামাই।
মানেসার
পুলিশের
ডেপুটি
কমিশনার
জানিয়েছেন,
হুড়া,
ভদ্রা,
স্কাইলাইট
হসপিটালিটি
প্রাইভেট
লিমিটেড
এবং
ডিএলএফের
বিরুদ্ধে
খেরকি
দাউলা
থানায়
অভিযোগ
দায়ের
করা
হয়েছে।
তিনি
জানিয়েছেন,
নাহ-এর
বাসিন্দা
সুরিন্দার
শর্মা
জমি
নিয়ে
অভিযোগ
জানিয়েছিলেন।
এফআইআর-এ
বলা
হয়েছে,
ভদ্রার
কোম্পানি
স্কাইলাইট
হসপিটালিটি
৭.৫
কোটি
টাকায়
একটি
জমি
কেনে।
এরপর
জমির
শ্রেণি
পরিবর্তন
করে
তা
৫৫
কোটি
টাকায়
বিক্রি
করে
দেয়।
হুডা
সরকার
ক্ষমতায়
থাকার
সময়,
খুব
সস্তায়
ভদ্রা
এই
জমি
পেয়েছিলেন।
এবং
তা
বিক্রি
করে
লাভবান
হয়েছিলেন।
এবছরের
ফেব্রুয়ারিতে
হুডা-সহ
৩৩
জনের
বিরুদ্ধে
মানেসারে
১৫০০
কোটির
জমি
দুর্নীতিতে
চার্জশিট
দেয়
সিবিআই।
মানেসার
ছাড়াও
নৌরাংপুর,
লাখনৌলায়
জমি
দুর্নীতির
অভিযোগ
ছিল
এই
মামলায়।
২০১৪-র নির্বাচনে বিজেপি এই জমি দুর্নীতির অভিযোগকেই বড় ইস্যু করেছিল।
সূত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, জমি দুর্নীতির তদন্তে গঠিত ধিংড়া কমিশন জমি দুর্নীতিতে ভদ্রার ৫০ কোটি টাকা লাভের কথা উল্লেখ করেছিল। তবে সেই রিপোর্ট এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
বিজেপি নেতা জওহর যাদব বলেছেন, এটা ব্যক্তিগত লড়াই নয়। সংযুক্তভাবেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। রাজ্যের বিজেপি সরকার কিংবা কেন্দ্রের সরকার কোনওভাবেই দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।
২০০৮-এ ভদ্রার সঙ্গে ডিএলএফ-এর চুক্তি বাতিলকারী সিনিয়র আইএএস অফিসার অশোক খেমকা টুইটারে ধিংড়া কমিশনের তদন্তকে অপব্যয় বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
Dhingra Commission of Inquiry was wastage of time and public money. What a private man could do now, the State Govt could have done 3 years earlier. They had access to official records and my reports of 21 May, 2013 and 12 Feb., 2015. Shielding the corrupt is also a corrupt act.
— Ashok Khemka (@AshokKhemka_IAS) September 1, 2018