সেপ্টেম্বরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ২৬ শতাংশ, উৎসবের মুরশুমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ইঙ্গিত
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ ২৬ শতাংশ বেড়েছে
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে ১,৪৭,৬৮৬ কোটি টাকা। তারমধ্যে সিজিএসটি পরিমাণ হল ২৫,২৭১ কোটি টাকা। এসজিএসটির পরিমাণ হল ৩১,৮১৩ কোটি টাকা। আইজিএসটি হল ৮০,৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টানা সাত মাস জিএসটি রাজস্ব ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার ওপর সংগ্রহ করেছে। যা ভারতের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সরকারি বিবৃতি অনুসারে সেপ্টেম্বরে জিএসটি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী মাসগুলোতে বাড়বে জিএসটি সংগ্রহ
ভারতের KPMG-এর অংশীদার (পরোক্ষ কর) অভিষেক জৈন বলেছেন, সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরবর্তী মাসগুলোতে জিএসটির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। গত বছরে এই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী মাসগুলোতে উৎসবের মরশুম আসছে। আর তার জেরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ যে বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতি
অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পণ্য আমদানি থেকে রাজস্ব ৩৯ শতাংশ বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের গত মাসে ২২ শতাংশ বেশি জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে। একটানা আট মাস যেখানে জিএসটি ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একক দিন, যেখানে ৪৯,৪৫৩ কোটি টাকার জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জিএসটি পোর্টালটি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল ও ত্রুটিমুক্ত।
অগাস্ট মাসে জিএসটি সংগ্রের পরিমাণ
অর্থ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অগাস্ট মাসে জিএসটি রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১,৪৩, ৬১২ কোটি টাকা। তারমধ্যে সিজিএসটি রয়েছে, ২৪,৭১০ কোটি টাকা। এসজিএসটি ছিল ৩০,৯৫১ কোটি টাকা। আইজিএসটির পরিমাণ ৭৭,৭৮২ কোটি টাকা। পণ্য আমদানি থেকে ১,০১৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। গত বছর অগাস্টে জিএসটি থেকে আয় ছিল ১,১২,০২০ কোটি টাকা। যা এই বছরের অগাস্টের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম। এছাড়াও গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পণ্য আমদানি থেকে রাজস্ব ৫৭ শতাংশ বেশি ও অভ্যন্তরীণ লেনদেন ক্ষেত্রে রাজস্ব ১৯ শতাংশ বেশি আমদানি করা হয়েছে।