দেশে আর্থিক বৃদ্ধির প্রতিফলন, চলতি অর্থবর্ষে কর সংগ্রহের পরিমাণ ৩৫.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি
দেশে আর্থিক বৃদ্ধির প্রতিফলন, চলতি অর্থবর্ষে কর সংগ্রহের পরিমাণ ৩৫.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
চলতি অর্থবর্ষের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ ৩৫.৪৬ শতাংশ বেড়েছে। যার জেরে ৬.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এই রেকর্ড পরিমাণ কর সংগ্রহ ভারতের অর্থিক বৃদ্ধির একটি প্রতিফলন বলে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ১৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে নয়া রেকর্ড করেছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক শেষ হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ ৫.২৯ লক্ষ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। গত বছরের এই সময়ে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের তুলনায় ৩০.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ৩৭.৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চলতি অর্থবর্ষের ৪ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ কিছুটা কমে ৩৩.৪৬ শতাংশ হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১.১৯ লক্ষ কোটি টাকার রিফান্ড জারি করা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময় জারি করা রিফান্ডের তুলনা ৬৫.২৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, চলতি অর্থবর্ষে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ করা হয়েছে। যা গত বছরের ওই সময়ের থেকে ৩৫.৪৬ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রকের
প্রতিবেদন
অনুযায়ী,
কর্পোরেট
আয়করের
থেকে
ব্যক্তিগত
আয়কর
সংগ্রহের
হার
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
কর্পোরেট
আয়কর
বা
সিআইটি
বৃদ্ধির
হার
২৫.৯৫
শতাংশ।
যেখানে
ব্যক্তিগত
আয়কর
বা
পিআইটির
হার
৪৪.৩৭
শতাংশ
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
অর্থ
মন্ত্রকের
পরিসংখ্যান
অনুযায়ী
সিআইটি
সংগ্রহের
নেট
বৃদ্ধি
৩২.৭৩
শতাংশ
সেখানে
পিআইটি
সংগ্রহ
২৮.৩২
শতাংশ
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
অন্যদিকে,
৩১
মার্চ
২০২২
সালে
শেষ
হওয়া
অর্থবর্ষে
ভারতে
প্রত্যক্ষ
কর
সংগ্রহের
রেকর্ড
৪৯
শতাংশ
বৃদ্ধি
পেয়েছিল।
যার
পরিমাণ
হয়েছিল
১৪.১০
লক্ষ
কোটি
টাকা।
চলতি
অর্থবর্ষে
কেন্দ্র
১৪.২০
লক্ষ
কোটি
টাকা
সংগ্রহ
করার
লক্ষ্য
নিয়েছিল।
সেখানে
কর্পোরেট
কর
থেকে
৭.২০
লক্ষ
কোটি
টাকা
ও
ব্যক্তিগত
করদাতাদের
সঙ্গে
৭
লক্ষ
কোটি
সংগ্রহের
লক্ষ্য
আর্থিক
মন্ত্রকের
তরফে
নেওয়া
হয়েছিল।