farmer bjp central government কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি কৃষক দিল্লি প্রজাতন্ত্র দিবস delhi republic day politics
গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ারেই কেন্দ্রকে 'জবাব' দেবে কৃষকরা! পাল্টা ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মোদীরা
দেশের অধিকাংশ কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অন্য়ান্য় কর্মীরা নয়া কৃষি আইনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷ রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর৷ আর সেই কারণেই আগামী ১৯ জানুয়ারি কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানালেন তিনি৷ সরকার কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের সব দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে রাজি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা
এদিকে কেন্দ্রের এই বক্তব্যে পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম 'অস্ত্র' হল জাতীয়তাবোধ। এবার সেই জাতীয়তাবোধের পথে হেঁটেই কেন্দ্রকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চায় কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছে যে দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারি যে ট্রাক্টর মিছিলের ডাক তারা দিয়েছে, তাতে প্রতিটি ট্রাক্টরে তেরঙ্গা থাকবে। কৃষকদের আরও অভিযোগ, তাদের গায়ে বিচ্ছিনতাবাদী তকমা লাগাতে চাইছে সরকার। তবে তারা কেন্দ্রের এই প্রচেষ্টাকে বিফল করে দেবে।

কৃষক সংগঠনগুলি আইন প্রত্যাহারে দাবিতেই অনড়
অন্যদিকে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, 'আমরা আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি৷ যেখানে কৃষকদের মান্ডি ও ব্য়বসার শংসাপত্রের উপর তাদের মতামত সম্পর্কে আলোচনা করতে রাজি হয়েছি৷ এমনকি সরকার কৃষি জমির গোড়া পোড়ানো সহ বিদ্যুৎ সবকিছুর উপর আলোচনা করতে রাজি রয়েছে৷ কিন্তু, কৃষক সংগঠনগুলি আইন প্রত্যাহারে দাবিতেই অনড় রয়েছে৷'

সরকার আইনে সংশোধন আনতে তৈরি রয়েছে
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, 'কৃষক সংগঠনগুলি তাদের অবস্থান থেকে সরতেই চাইছে না৷ তাঁরা শুধুমাত্র আইন প্রত্যাহারের দাবিই জানিয়ে চলেছে৷ যখন সরকার একচি আইন লাগু করে, তখন সেটা গোটা দেশের ক্ষেত্রে লাগু হয়৷ বেশিরভাগ কৃষক, শিক্ষানবিশ, বিজ্ঞানী এবং যাঁরা কৃষির অন্য়ান্য় ক্ষেত্রে কাজ করছে, সবাই এই আইনের পক্ষে রয়েছেন৷ তা সত্ত্বেও সরকার আইনে সংশোধন আনতে তৈরি রয়েছে৷'

কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ
তিনি এও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও, আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানানোর কোনও প্রশ্নই আসে না৷ তিনি আশা করেন কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের সঙ্গে বসে, আইনের প্রতিটি ধারা-উপধারা নিয়ে আলোচনা করুক৷ তারপর সরকারকে সুযোগ দিক সেই আইনে সংশোধন আনার৷ তবে, আগামী ১৯ জানুয়ারি সরকারের এই আবেদনে কৃষকরা সারা দেন কি না, তা সময়ই বলবে৷

সুপ্রিমকোর্টের কমিটি গঠন
উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিনটি কৃষি আইনের উপরেই এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করা হয়েছে । পাশাপাশি একটি কমিটিও গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কৃষি আইন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে এই কমিটির মাধ্যমে একটি স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে বলে মত সুপ্রিম কোর্টের।