কাগজে কলমে না হলে বিশ্বাস নেই! এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না কৃষকরা
কাগজে কলমে না হলে বিশ্বাস নেই! এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না কৃষকরা
কাগজে-কলমে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে দিলেন কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক ঘোষণাতে পুরো ভরসা রাখতে পারছেন না তাঁরা। তবে কোন পথে যাবে আন্দোলন তা ২৭ নভেম্বর বৈঠক করে তারা রণনীতি ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে আন্দোলন চালিেয় যাওযার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তারপরে পরবর্তি পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে ২৯ নভেম্বরই বসছে দেশের শীতকালীন সংসদ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গুরুনানক জয়ন্তি পবিত্র দিনে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন তিনি ঘোষণা করেন কৃষকদের স্বার্থে সংশোধিত নতুন কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণার পরেই গোটা দেশে উচ্ছ্বাস শুরু করেন কৃষকরা। সাময়িক ভাবে আমন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু পুরোপুরি আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি তাঁরা। সোমবার তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছিল। তার আগেই রবিবারই সাময়িক আলোচনা কর২ ২৯ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার কথা ঘোষণা করেছে। ২৯ নভেম্বরই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনেই কৃষি আইন বাতিলের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে মোদী সরকার।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক ঘোষণাতে আস্থা রাখতে পারছে না কৃষকরা। তাই আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। যতক্ষণ না আইনি প্রক্রিয়ায় কৃষি আইন বাতিল হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ২৬ নভেম্বর কৃষকদের আন্দোলন ১ বছর পূর্ণ করবে সেকথা মাথায় রেখেই আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন আন্দোলনের জয়ের প্রতিক হিসেবে সংসদ ভবন পর্যন্ত ট্রাক্তর ব়্যালি করবেন কৃষকরা। এদিকে আবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত দাবি করেছেন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেও মোদী সরকার কৃষকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ চাষীদের কথা বলেছেন। কৃষকদের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে সেগুলি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতা। শোনা যাচ্ছে যংযুক্ত কিষাণ মোর্চা নতুন একটি দাবিপত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠাতে চলেছেন।
এদিকে বিরোধীরা মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই মোদী সরকার এই কাজ করেছেন। সেটি কাগজে কলমে যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ বিশ্বাস নেই বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে কৃষি আইন বাতিল করার জন্য ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস হয়ে গেেলই সংসদে কাজ শুরু হয়ে যাবে।