ফেল চাণক্য নীতি! কৃষকদের অনড় অবস্থানে দিল্লি সীমান্তে আরও গম্ভীর হচ্ছে পরিস্থিতি
গতকাল রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে হাই ভোল্টেজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তবে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের শান্ত করার কোনও পন্থাই বের করতে পারেননি গেরুয়া শিবিরের চাণক্য এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমান্তে ফের উত্তজনা সৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে।

কী বলেন অমিত শাহ?
এর আগে হায়দরাবাদে রবিবার অমিত শাহ বলেছিলেন, কৃষকদের আন্দোলনকে তিনি কখনই রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বলেননি। এখনও বলছেন না। নতুন কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে যে কেউ যে কোনও বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করতে পারে। তিনটি আইনই কৃষকদের সুবিধার্থে আনা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে যেতেই পারে।'

ফেল চাণক্য নীতি?
তবে সাংবাদিকদের এই কথা বললেও, এই একই কথা কৃষকদের বোঝাতে পারছেন না অমিত শাহ অ্যান্ড কোম্পানি। উল্টে কৃষকদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, আমি কখনই কৃষকদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বলিনি। এখনও বলছি না।

কৃষক সংগঠনগুলির কাছে কী আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ
এদিকে আগেই বুরারিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ। তারা সেখানে গিয়ে আন্দোলন করলে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সমস্ত সমস্যা ও দাবির কথা শুনবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু আজ তাঁর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি।

অমিত শাহর প্রস্তাবকে উড়িয়ে দেন কৃষকরা
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারীর তরফে এই প্রসঙ্গে বলা হয়, 'খোলা কয়েদখানায় যাওয়ার বদলে আমরা দিল্লির পাঁচটি মূল প্রবেশপথ অবরোধ করে ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সঙ্গে চার মাসের রেশন সামগ্রী রয়েছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমাদের অপারেশন কমিটি সবকিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।'

কৃষকরা বুরারিতে কিছুতেই যাবেন না
কৃষকদের তরফে আরও বলা হয়, কৃষকরা বুরারিতে কিছুতেই যাবেন না কারণ এটা খোলা কয়েদখানা ছাড়া কিছুই নয় বলে তাঁদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এদিকে আলোচনার জন্য অমিত শাহর শর্ত দেওয়াকে তাঁরা কৃষকদের অপমান হিসেবেই দেখছেন। এদিকে এরই মাঝে দিল্লি ঢোকার পাঁচট রাস্তা বন্ধ হওয়ায় রাজধানীতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঢুকতে পারছে না, যার জেরে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কৃষক গর্জনে অবরুদ্ধ দিল্লি, মন্দার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা