আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার, অনশনে বসলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত
অনশনে বসলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডে দিল্লি পুলিশের নো অবজেকশন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে রাকেশ টিকাইত, দর্শন পাল, রাজিন্দর সিং, বলবীর সিং রাজেওয়াল, বুটা সিং বুর্জগিল, যোগেন্দ্র যাদব, মেধা পাটেকর এবং যোগিন্দর সিং উগ্রাহা সহ মোট ৩৭ জন কৃষক নেতার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না এবং তিনি এও জানান যে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটি আগে প্রমাণ করুক যে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর মার্চ চলাকালীন কৃষকরা কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে।
আত্মসমর্পণ নয়
রাকেশ টিকাইত প্রতিবাদের জায়গায় অনশনে বসে যান এবং জানান যে তিনি শুধু তাঁর গ্রামের জলই পান করবেন। যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশ সরকার গাজিপুর সীমান্তের প্রতিবাদের জায়গা খালি করার জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে। রাকেশ টিকাইত বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গ্রেপ্তারি চাই। কিন্তু মনে হচ্ছে প্রতিবাদকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা চলছে। যদি এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা থাকে, আমি এখানে রয়েছি। আমি গুলির মুখোমুখি হতে রাজি।' তিনি এও জানান যে এই তিন আইন প্রত্যাহার না করা হলে তিনি নিজেকে মেরে ফেলবেন।
প্রয়োজনে গ্রাম থেকে আসবে অনেকে
রাকেশ টিকাইত এও জানিয়েছেন যে প্রতিবাদের জায়গা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সরিয়ে দেওয়া উচিত, কারণ তাঁরা ব্যর্থ হলে তাঁকে এবং অন্য কৃষকদের গ্রেপ্তার করা হবে না। রাকেশ টিকাইত সরকার ও পুলিশকে রীতিমতো হুমকির স্বরে বলেন, 'যদি কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে তবে তার জন্য দায়ি থাকবে পুলিশ। কিছু যদি ঘটে তবে আমি নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেব। সুপ্রিম কোর্টের প্যানেলকে আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হিংসার ঘটনা প্রমাণ করতে দিন।' গাজিপুর সীমান্তে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য করতে গিয়ে রাকেশ টিকাইত জানান যে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। রাকেশ টিকাইত বলেন, 'কোনও আত্মসমর্পণ হবে না। বিজেপি অন্য ধরনের কোনও বিষয় ঘটাতে চাইছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লাল কেল্লায় ঘটনার জন্য যারা দায়ি তাদের ফোন কলের তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উচিত।' তিনি এও জানান যে যদি প্রয়োজন হয় তবে প্রতিবাদের জন্য গ্রাম থেকে আরও অনেককে নিয়ে আসা হবে। টিকাইত এও বলেন, 'দীপ সিধুর যোগও দেশের সামনে আসা দরকার। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করছে।'
কৃষকদের সরাতে উদ্যোগী সরকার
বৃহস্পতিবার গাজিয়াবাদ জেলার প্রশাসন দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ গাজিপুর সীমান্তের প্রতিবাদ স্থানে কৃষকদের সরানোর জন্য চরমপত্র দিয়েছে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকার সমস্ত জেলা শাসক ও এসএসপিকে নির্দেশ দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্য থেকে এই প্রতিবাদ সরিয়ে ফেলতে।
২৫টি এফআইআর
রাকেশ টিকাইত সহ ৩৭ জন কৃষক নেতার নাম রয়েছে এফআইআরে। এই নেতাদের বিরুদ্ধে, খুন, হিংসাত্মক ঘটনা, ষড়যন্ত্র সহ অন্যান্য ধারা দায়ের করা হয়েছে। রাকেশ টিকাইতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা দায়ের করা হয়েছে। ২৫টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুরসভার পানীয় জলে ব্যাকটেরিয়া, বারাসতে অসুস্থ প্রায় একশো জন