পাকিস্তানে ছাপা জাল নোট এই ৩টি দেশ ঘুরে ভারতে আসে!
পাকিস্তানে ভারতীয় টাকা ছাপা হয়ে তা ঘুরপথে ভারতে আসে তা আজরে দিনে প্রায় সকলেই জানে। ভারতীয় অর্থনীতিতে ঘুণ ধরাতে বলা যায় রাষ্ট্রযন্ত্রের মদতেই পাকিস্তানে তৈরি হয় ভারতীয় নোট। আর তা পাচার ও ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভারতের বাজারে। [জেনে নিন কীভাবে মালদহ দিয়ে সারা দেশে ছড়াচ্ছে জাল নোট]
তবে জানেন কি, কোন পথে ভারতে আসে পাকিস্তানে ছাপা ভারতীয় টাকা? এনআইএ-র তদন্তে উঠে এসেছে সেই তথ্যই। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ছাপা ভারতীয় টাকা প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পৌঁছয়। সেখান থেকে তা পাচার হয় মায়ানমারে। তারপরে সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে জাল টাকার নোট। [তামিলনাড়ু থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে হাওয়ালার কোটি কোটি টাকা যেত দুবাই!]
ঠিক এই পথেই চোরাচালানকারীদের হাত ধরে আপাতত জাল ভারতীয় নোট দেশের বাজারে পাচার চলছে বলে উঠে এসেছে এনআইএ তদন্তে। আরও জানা গিয়েছে, বর্তমানে পাঁচশো বা একশো টাকার নোটের চেয়ে ১ হাজার টাকার জাল নোটই বেশি ছাপা হচ্ছে। [ম্যাচ ফিক্সিং কী করে হয় জানেন? জেনে নিন একজন বুকির ভাষ্য]
বাংলা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রুট
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যেমন এরাজ্য হয়ে সারা দেশে জাল টাকা ছড়ানো হচ্ছে, তেমনই অন্ধ্রপ্রদেশকেও রুট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জেনেছেন এনআইএ তদন্তকারীরা। কারণ গত কয়েকমাসে অন্ধ্রে প্রচুর জাল নোট ধরা পড়েছে। [এবার বাজারে এল 'শূন্য' টাকার নোট!]
অন্ধ্রের জাল নোটের কারবারীরা মালদহ থেকে গিয়ে নোট নিয়ে এসে রাজ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। বেশিকিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও জাল নোট ধরা পরে। ভিড়ের সময়ে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়ার সময়ে অনেক টাকার মধ্যে কায়দা করে কয়েকটি করে নোট ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়েই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপরই তদন্তে গোটা বিষয়টি উঠে এসেছে।