বিজেপি-ফেসবুক আতাঁত নিয়ে মুখ খুলে ফ্যাসাদে আধিকারিক! পাচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকি
কয়েকজন বিজেপি নেতা প্ররোচনামূলক পোস্ট করা সত্ত্বেও সেগুলির বিরুদ্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে বিদেশের প্রথম সারির এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটিতে ফেসবুকের পলিসি নির্ণয়াক আধিকারিককে উদ্ধিৃত করেই প্রকাশ করা হয়েছিল। এবং এর প্রেক্ষিতেই এবার আঁখি দাস নামক সেই আধিকারিক ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আঁখির বিরুদ্ধে হুমকিমূলক পোস্ট
আঁখির বিরুদ্ধে হুমকিমূলক পোস্ট করা হচ্ছে অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, যে সংবাদ প্রতিবেদনটি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, তাতে লেখা, আপত্তিকর বা প্ররোচনামূলক পোস্টের ক্ষেত্রে ফেসবুক সাধারণত যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বিজেপি-র কোনও নেতা বা কর্মীর ক্ষেত্রে সেই ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, ফেসবুকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজেপি-র নেতা ও কর্মীদের পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংস্থাকে বাণিজ্যিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
রাহুল গান্ধীর আক্রমণ
আর এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, ভারতে বিজেপি ও আরএসএস ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটার মাধ্যমে ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয় এবং ভোটারদের প্রভাবিত করে। অবশেষে সত্যিটা সামনে এনেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম।
অভিযোগ অস্বীকার ফেসবুকের
যদিও ফেসবুকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা সকল ধরনের বিদ্বেষমূলক ভাষণ বা কনটেন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করি যা কি না হিংসা ছড়াতে পারে। এটা বিশ্বজুড়ে একই পলিসির মাধ্যমে আমরা করে থাকি। এতে আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত করি না। আমরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে অডিট চালাই। আমরা আরও স্বচ্ছতা ও সঠিক তথ্য প্রকাশের বিষয়ে অনেক দূর এগোতে সক্ষম হয়েছি।'
রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রতি আক্রমণ
এদিকে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে একাধিক মন্ত্রীও। রাহুলের টুইটের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা স্ক্যানডেলের কথা। সেই সময় নির্বাচনের আগে ফেসবুককে ভুলভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস শিবিরের বিরুদ্ধে।