রাম রহিমের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ঘিরে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সিবিআই আধিকারিকের
এই প্রভাবশালী ধর্মগুরুকে আইনের জাল থেকে 'বাঁচাতে' এর আগে বহু চেষ্টা হয়েছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে অবসর প্রাপ্ত সিবিআই আধিকারিকের ।
শুক্রবার ধর্মগুরু রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, গাজিয়াবাদ জুড়ে অশান্তি ছড়াতে থাকে ডেরা সচা সৌদা-র ভক্তরা। হিংসার আগুনে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ ও জাতীয় রাজনীতি।
এই প্রভাবশালী ধর্মগুরুকে আইনের জাল থেকে 'বাঁচাতে' এর আগে বহু চেষ্টা হয়েছে। কখনও গুরুর কীর্তির পর্দাফাসকারী সাংবাদিককে খুন করা হয়েছে, কখনওবা ধর্ষিতাদের চরম হুঁশিয়ারি শোনানো হয়েছে। প্রভাব খাটানো হয় গুরুর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত প্রক্রিয়ায়ও। এমনই তথ্য উঠে এসেছে অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই আধিকারিকের বক্তব্যে, যিনি এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন । তিনি স্বীকার করেছেন যে , মামলা ঘিরে তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হয়।
তদন্ত বন্ধ করতে চাপ
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সিবিআই-এর প্রাক্তন জয়েন্ট ডিরক্টর মুলিঞ্জা নারায়ণ জানিয়েছেন ,' ২০০২ সালর ১২ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের হয়। একদিন দেখি আমার ঘরে ঢুকে এক সিবিআই অফিসার বলতে থাকেন, এই মামলা বন্ধ করা হোক। কোনও কার্যকরি পদক্ষেপ নিতেও বারণ করা হয়।' এরপরও তদন্ত চলে। রাজনৈতিক চাপও বাড়তে থাকে তদন্ত প্রক্রিয়ায়।
চাপ আসে বড়সড় মহল থেকে
শুধু
রাজনৈতিক
নেতারা
নন,
এই
মামলা
নিয়ে
প্রভাব
খাটানো
হয়
বড়সড়
ব্যবসায়ীদের
তরফেও।
কিন্তু
শেষমেশ
এই
তদন্ত
শেষ
করে,
তার
যোগ্য়
রায়
মেলায়
স্বভাবতই
খুশি
এই
অবসরপ্রাপ্ত
সিবিআই
আধিকারিক।
কতটা কঠিন ছিল প্রমাণ জোগাড় করা ?
এই
গোটা
তদন্ত
প্রক্রিয়ায়
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ
ছিল
,
যে
মহিলা
প্রথমবার
১৯৯৯
সালে
রাম
রহিমের
বিরুদ্ধে
মুখ
খুলে
ডেরা
ছেড়ে
চলে
আসেন
তাঁকে
নিয়ে।
কারণ
সে
পরে
বিয়ে
করে
সুখের
সংসার
করছিল।
তাঁর
মুখ
দিয়ে
রাম
রহিমের
বিরুদ্ধে
বয়ানের
জন্য
কথা
বার
করানো
মুশকিল
হয়ে
উঠেছিল
তদন্তকারীদলের
পক্ষে।
কেমন ছিল 'বাবা'র বয়ান?
তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন , যখন ধর্মগুরু রাম রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে, তখন রাম রহিম 'বাবা' হিসাবে তদন্তকারীদের সামনে অভিনয় করার চেষ্টা করেন বলেও খবর। তবে প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক তথা দুঁদে তদন্তকারী অফিসার মুলিঞ্জা নারায়ণের দাবি, বয়ান দেওয়ার সময় থেকেই একটু ভিতু মনে হচ্ছিল রাম রহিমকে।