অভিষেক ইডির কাছে যাওয়ার পরেই মমতা কংগ্রেস-বিমুখ! হিসেবটা অত সহজ নয়, দিল্লির মসনদের অঙ্ক অনেক গভীরে
২০২৪-এর লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। মূলত কংগ্রসে (Congress) ভাঙিয়ে রাজ্যে রাজ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিশেষ করে অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishe
২০২৪ (2024 Loksabha Election ) -এর লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। মূলত কংগ্রসে (Congress) ভাঙিয়ে রাজ্যে রাজ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিশেষ করে অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডি ডাকার পর থেকে সনিয়া-বিমুখ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ বলছে অঙ্কটা অতটা সহজ নয়। তবে এটা ঠিক যে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরএসএস (RSS)-এর ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও অন্য অনেক অঙ্ক রয়েছে দেশের রাজনীতিতে। হাজার হোক রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। তবে তৃণমূল কতটা সফল হতে পারবে, তা বলবে ভবিষ্যত।
মমতার আরএসএস যোগ
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
আরএসএস-এর
সম্পর্ক
দীর্ঘদিনের।
এই
অভিযোগ
করে
থাকেন
পশ্চিমবঙ্গের
বিজেপি
বিরোধী
বাম-কংগ্রেস।
তবে
বিষয়টি
নিয়ে
বিজেপি
কিংবা
আরএসএসকে
কিছু
বলতে
শোনা
যায়নি।
এটাও
ঠিক
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
২০০৩
সালে
দিল্লিতে
আরএসএস-এর
এক
অনুষ্ঠানে
যোগ
দিয়েছিলেন।
সেই
অনুষ্ঠানে
মমতাকে
দুর্গা
হিসেবে
বর্ণনা
করা
হয়েছিল।
সূত্রের
খবর,
এছাড়াও
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
আরএসএস
প্রধান
মোহন
ভাগবতের
ভাল
সম্পর্ক
রয়েছে।
তবে
রাজনৈতিক
এই
সম্পর্ক
নতুন
কিছু
নয়।
প্রয়াত
লোকসভার
স্পিকার
তথা
সিপিএমের
প্রাক্তন
সাংসদ
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়ের
বাবা
নির্মল
চট্টোপাধ্যায়
হিন্দু
মহাসভার
অন্যতম
নেতা
হলেও,
চতুর্থ
লোকসভায়
জিতেছিলেন
সিপিআই
প্রার্থী
হিসেবে।
তবে
এই
ধরনের
সম্পর্ককে
কে
কী
ভাবে
ব্যবহার
করবেন,
তা
ওই
ব্যক্তি
বিশেষের
ওপরে
নির্ভর
করে।
কোনও
ব্যক্তি
নিজের
আদর্শে
অবিচল
থেকে
অন্যদলের
সঙ্গে
ভাল
সম্পর্ক
রাখতেই
পারেন,
এর
বড়
উদাহরণ
জ্যোতি
বসুর
সঙ্গে
বিধান
রায়
কিংবা
সিদ্ধার্থশঙ্কর
রায়ের
সম্পর্ক।
প্রণব
মুখোপাধ্যায়ও
তো
আরএসএস-এর
সদর
দফতর
নাগপুরে
গিয়ে
ভাষণ
দিয়েছিলেন।
মমতার আডবানী যোগ
সেই
একইভাবে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
আডবাণীর
ভাল
সম্পর্ক
রয়েছে
এখনও।
নন্দীগ্রাম
পর্বে
আডবাণী
ছুটে
এসেছিলেন,
তাঁর
এসপিজির
সাহায্যেই
তৃণমূল
২০০৭-এর
১৪
মার্চের
পরে
নন্দীগ্রামে
প্রবেশ
করে।
এই
মুহূর্তে
বয়সের
কারণে
সক্রিয়
রাজনীতিতে
না
থাকলেও
তাঁর
রাজনৈতিক
চিন্তা
সক্রিয়।
অনেকেই
বলেন,
তিনিও
নাকি
বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদীর
বিভিন্ন
কাজে
অসন্তুষ্ট।
কিন্তু
সেভাবে
এখন
তাঁর
সক্রিয়
থাকা
সম্ভব
নয়
শারীরিক
কারণে।
শুধু
আডবাণী
নন,
বাজপেয়ী
মন্ত্রিসভায়
থাকার
কারণে
সেই
সময়ের
অনেকের
সঙ্গেই
ভাল
সম্পর্ক
রয়েছে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তাঁদের
মধ্যে
অন্যতম
যশবন্ত
সিনহা
ইতিমধ্যেই
তৃণমূলে
যোগ
দিয়েছেন।
এছাড়াও
নীতীন
গড়কড়ির
মতো
বিজেপির
নাগপুরের
নেতার
সঙ্গেও
মমতার
সম্পর্কটা
যথেষ্টই
ভাল।
সম্পর্ক
ভাল
রাজনাথ
সিং-এর
সঙ্গেও।
মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের পুরনো নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ
কমলনাথের মতো পুরনো কংগ্রেস নেতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কটা বেশ মধুর। কমলনাথ যখন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে যুব কংগ্রেসের সভাপতি। গত জুলাই মাসে দিল্লিতে কমলনাথ ছাড়াও আনন্দ শর্মা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এছাড়াও রাজ্যে রাজ্যে অনেক কংগ্রেস নেতার সঙ্গেই ভাল যোগযোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসব রাজ্যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। আবার তাঁরা বিজেপিতে যেতে পারছেন না, ফলে তাঁদের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
কংগ্রেসে রাহুল বিরোধিতা
যে ইন্দিরা গান্ধী একটা সময়ে হেলায় ভারত শাসন করেছেন, জঙ্গি হামলায় তাঁর মৃত্যুর পরে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন। সেই সময় থেকে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণ করেছিলেন নরসিমা রাওয়ের মতো নেতা। এরপর মনমোহন সিং। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাহুল গান্ধীকে দলে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যে কারণে কংগ্রেসে মনীশ তিওয়ারি ও কপিল সিবালদের মতো নেতাদের নিয়ে জি-২৩ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। আবার শশী তারুরের মতো নেতা রাহুল গান্ধীকে অপছন্দ করলেও খানিক চুপ করে গিয়েছেন। জয়রাম রমেশ, অভিষেক মনু সিংভির মতো মতো গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতাদের সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছেন না।
ব্যতিক্রমী নাও হতে পারেন মোদী
বিজেপি কিংবা আরএসএস-এ দুটি টার্মের বেশি পদে কাউকেই রাখা হয় না। সেটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি কিংবা সর্বভারতীয় সভাপতির ক্ষেত্রে সবাই দেখেছেন। ফলে ২০২৪-এ বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি বিজেপিতে ব্যতিক্রমী হবেন মোদী, নাকি অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবে বিজেপি? সেই প্রশ্নটা উঠছেই। কেননা বিজেপিতে মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানানো মতো এখন কেউ নেই। আডবাণীর বয়স হয়েছে। অন্যদিকে অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজের মতো নেতানেত্রীরা প্রয়াত হয়েছেন। ফলে কি সম্পর্কের খাতিরেই তৈরি রাখা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেই প্রশ্নও করছেন অনেকে।
মোদীকে নিয়ে বিজেপি-আরএসএস
সূত্রের খবর অনুযায়ী মোদীকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন, বিজেপি তথা আরএসএস-এর একটা বড় অংশ। বিশেষ করে মোদীর একরোখা মনোভাব। যা তিন কৃষি আইনের ক্ষেত্রে দেখেছে সারা দেশ। সঙ্গে রয়েছেন অমিত শাহ। ওই জুটি তৈরি হয়েছে একেবারে মোদীর গুজরাতের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় থেকে। মোদীকে তৃতীয়বারের জন্য সুযোগ দিতে তারা রাজি নন। আরএসএস-এর হাত ধরে উঠে এলেও মোদী নাকি এখন তাদের মতামতকেই পাত্তা দিতে চান না। ফলে চলছে পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে অবশ্যই বলে রাখা প্রয়োজন আরএসএস কিন্তু সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।
মমতার পক্ষে প্রকাশ্যে আরএসএস-এর সঙ্গে যাওয়া সম্ভব নয়
সম্পর্ক
কিংবা
ভাল
লাগা
থাকলেও
প্রকাশ্যে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আরএসএস-এর
সঙ্গে
যাওয়া
এই
মুহূর্তে
সম্ভবপর
নয়।
অন্তত
প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার
আগে
পর্যন্ত।
না
হলে
একধাক্কায়
পশ্চিমবঙ্গের
৩০
শতাংশ
সংখ্যালঘু
ভোটটাই
চলবে
যাবে।
যা
তিল
তিল
করে
গড়ে
তুলেছেন
তিনি।
তবে
সারা
ভারত
জয়ের
পিছনে
ঝাঁপিয়ে
পড়ার
কারণ
অবশ্যই
রয়েছে।
এই
প্রতিবেদনটি
সম্পর্কে
উল্লেখ
করা
প্রয়োজন,
কেউ,
কোনও
পক্ষই
প্রকাশ্যে
পরিকল্পনা
নিয়ে
কোনও
মন্তব্য
করতে
রাজি
হননি।