এনসেফ্যালাইটিসে বিহারে মৃত ৪৩ শিশু, মানতে নারাজ নীতীশ সরকার
লাফিয়ে লাফিয়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বিহারের মজফফরপুরে। গত একসপ্তাহে এনসেফ্যালাইটে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
লাফিয়ে লাফিয়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বিহারের মজফফরপুরে। গত একসপ্তাহে এনসেফ্যালাইটে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই কন্যা শিশু। যদিও হাসপাতালের শীর্ষ আধিকরিকরা একে এনসেফ্যালাইটিস বলতে নারাজ। তাঁদের দাবি শরীরে শর্করা ভয়ঙ্কর মাত্রায় কমে যাওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। শরীরে শর্কারার পরিমাণ কমে গেলে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রাও কমতে থাকে। এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপোগ্লাইসিমিয়া।
মজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের সুপার সুনীল কুমার সাহি জানিয়েছেন, যে কজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশেরই শরীরে শর্করার পরিমাণ ভয়ঙ্কর ভাবে কমে গিয়েছিল। এনসেফেলাইটিসে মৃত্যুর খবর মানতে নারাজ তিনি। সুনীল কুমার সাহি জানিয়েছেন কী কারণে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে সেটার কারণ অনুসন্ধান করে বিহারের মুখ্য সচিবকে তিনি রিপোর্ট দেবেন। যজিও ডাক্তারি পরিভাষায় হাইপোগ্লাইসিমিয়া অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসেরই একটি পর্যায়।
এনসেফ্যালাইটিস হলেই হাইপোগ্লাইসিমিয়া দেখা দেয়। এই রোগের লক্ষ্মণ নিয়ে মোট ১১৭ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অন্যদিকে মজফফরপুরের বেসরকারি হাসপাতাল কেজরিওয়াল হাসপাতালে আরও ৫৫ জন শিশু এই একই রোগের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে। চার জনের একটি মেডিকেল টিম ইতিমধ্যেই মজফফরপুরে পৌঁছেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতীশ কুমার মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিলেও সরকারি ভাবে শিশু মৃত্যুর কারণ এনসেফ্যালাইটিস মানতে রাজি নন তিনি। তবে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার দুবেকে নিয়ে মজফফরপুর পরিদর্শনে আসার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।