ঠাকরে-শিণ্ডে দ্বন্দ্বের জের, শিবসেনার প্রতীক ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
ঠাকরে-শিণ্ডে দ্বন্দ্বের জের, শিবসেনার প্রতীক ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
শিবসেনার প্রতীক নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আন্ধেরি পূর্বের উপনির্বাচনে শিবসেনার কোনও গোষ্ঠীই এই তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতীক িনয়ে টানাপোড়েনের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। শিবসেনার আসল দাবিদার কে এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
প্রতীক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
সামনেই আন্ধেরিতে উপ নির্বাচন। তার দিন ঘোষণাও করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে আবার প্রতীক ব্যবহার িনয়ে শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দড়ি টানাটানিও চলছে। শেষে চরম সিদ্ধান্ত শুনিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে শিবসেনার তীর-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না কোনও গোষ্ঠীই। অর্থাৎ শিন্ডে এবং ঠাকরে শিবসেনার কোনও গোষ্ঠীই উপনির্বাচনে তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।
শিণ্ডে ভার্সেস ঠাকরে
শিণ্ডের সঙ্গে ঠাকরের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই শিবসেনার দাবি দার হয়ে উঠেছে। ঠাকরেকে সরিয়ে শিবসেনার সর্বেসর্বা হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ঠাকরেও কঠিন ঠাঁই। কিছুতেই দলের মালিকানা ছাড়বেন না তিনি। এই টানা পোড়েন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। শিবসেনা আসলে কার তার লড়াই এখন চরমে। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একনাথ শিন্ডে। আর অন্যদিকে পিতার তৈরি সংগঠনকে ধরে রাখতে শিণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনড় উদ্ধব ঠাকরে।
কী নির্দেশ দিয়েছে কমিশন
আগামী ৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্বে উপনির্বাচন। তার আগে প্রতীক ঠিক করতে হবে শিবসেনার দুই গোষ্ঠীকে। ১০ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডেকে নিজেদের নতুন চিহ্ন জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। সেই প্রতীক অনুমোদন পেলে তবেই তাঁরা উপনির্বাচনে সেই প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে। শিবসেনার আসল প্রতীক তির-ধনুক তাঁরা কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না এই নির্বাচনে। এমনই জািনয়েছে িনর্বাচন কমিশন।
মুখোমুখি লড়াই শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর
একনাথ শিণ্ডে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হতে চলেেছ। আর এই নির্বাচনেই প্রথম শিবসেনার দুই গোষ্ঠী প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করবে। এর আগে শিবসেনা ভেঙেছে। রাজ ঠাকরে বেরিয়ে এসে নিজের দল গড়েছেন। মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শিবসেনার মধ্যে থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই এই প্রথম। বিজেপির সঙ্গে জোট করে একনাথ শিণ্ডে সরকার গড়েছেন। বাধ্য করা হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে।