আস্থা ভোটের আগে ফের চমক! একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনা থেকে 'অপসারণ' করলেন উদ্ধব ঠাকরে
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra assembly) আস্থাভোটের আগে ফের চমক। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এক বিবৃতি জারি করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) শিবসেনার সং
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra assembly) আস্থাভোটের আগে ফের চমক। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এক বিবৃতি জারি করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে অপসারণের কথা জানিয়েছেন। শিবসেনার (Shiv Sena) তরফে জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ঠাকরে বলেছেন শিন্ডে দল বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। তিনি স্বেচ্ছায় দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন বলে জানানো হয়েছে শিবসেনার তরফে।
সংগঠন থেকে অপসারণ
উদ্ধর ঠাকরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শিবসেনার তরফ থেকে এব্যাপারে তাঁর ওপরে যাবতীয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
চিঠিটি ৩০ জুন তারিখের
সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিতে না চাওয়ায় ২৯ জুন রাতে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন। এরপর ৩০ জুন সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। শিবসেনার বেশিরভাগ বিধায়ক উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে লোকসভায় শিবসেনার অনেত সদস্যই বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত বিধানসভায় শিবসেনার ৫৫ জন এবং লোকসভায় ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। রাজ্যসভায় শিবসেনার সদস্য সংখ্যা ৩।
বিধান পরিষদের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই শুরু রাজনৈতিক নাটক
২১
জুন
মহারাষ্ট্র
বিধান
পরিষদের
ফল
ঘোষণা
করা
হয়।
পর্যাপ্ত
বিধায়ক
থাকলেও
একটি
আসন
কম
পায়
শিবসেনা।
কার্যত
তারপরেই
মহারাষ্ট্রে
রাজনৈতিক
সংকট
শুরু
হয়।
প্রথমে
একনাথ
শিন্ডে
১৫
জন
বিধায়ককে
নিয়ে
সুরাত
চলে
যান।
তারপর
সেখান
থেকে
অসম।
এরপরেই
আস্তে
আস্তে
তাঁর
শিবিরে
বিদ্রোহী
বিধায়ক
ও
মন্ত্রীর
সংখ্যা
বাড়তে
থাকে।
একনাথের
দাবি
তো
শিবসেনায়
বিদ্রোহী
বিধায়ক
৪০
পেরিয়ে
যায়।
সংকট
বাড়তে
থাকে।
বিদ্রোহীদের
শিবিরে
যোগ
দেন
অনেক
নির্দল
বিধায়কও।
একনাথের
পাশাপাশি
বিজেপির
তরফে
দেবেন্দ্র
ফড়নবিশ
রাজ্যপালকে
চিঠি
দিয়ে
আস্থা
ভোটের
দাবি
করেন।
রাজ্যপাল
আস্থা
ভোটের
নির্দেশ
দিলে,
তার
বিরুদ্ধে
সুপ্রিম
কোর্টে
আবেদন
করেন
উদ্ধব
ঠাকরে।
যদিও
সুপ্রিম
কোর্টে
আস্থাভোটের
ওপরে
স্থগিতাদেশ
দিতে
চায়নি।
২৯
জুন
রাতে
ফেসবুক
লাইভে
পদত্যাগের
কথা
জানান
উদ্ধব
ঠাকরে।
যার
জেরে
প্রায়
সাত
দিন
সংকট
চলার
পরে
মহা
বিকাশ
আঘাধির
আড়াই
বছরের
সরকারের
পতন
হয়।
ফের ফিরে আসার বার্তা
পদত্যাগের সময় উদ্ধব বলেন, তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেইভাবেই তিনি সরে যাচ্ছেন। তবে তিনি অন্য কোথাও যাচ্ছেন না। তিনি সেখানেই থাকবেন এবং আবার ফিরে আসবেন। পাশাপাশি তিনি এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান, তাঁকে আড়াইবছর সমর্থনের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ হবে অসম-উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতের মতো! গীতা-বিবেকানন্দের থেকে শিক্ষা নিতে আহ্বান শুভেন্দুর