ভারতীয় বায়ুসেনা হচ্ছে আরও শক্তিশালী, আসছে ৮টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার
পাঠানকোটে বায়ুেসনা ঘাঁটিতে আসতে চলেছে আমেরিকার তৈরি বিধ্বংসী আটটি অ্যাপাচে অ্যাটাক চপার।
পাঠানকোটে বায়ুেসনা ঘাঁটিতে আসতে চলেছে আমেরিকার তৈরি বিধ্বংসী আটটি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। পাকিস্তানের চোখ রাঙানির মধ্যেই মার্কিন এই ৮টি বিধ্বংসী চপারের বায়ুসেনায় সংযুক্ত হওয়ার খবরে অন্য সমীকরণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বায়ুসেনা প্রধানের উপস্থিতিতেই পাঠানকোটে নতুন চপারের আগমন
পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এখন রয়েছে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া। গতকালই অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছেন তিনি। তাঁর উপস্থিতিতেই এই আট অ্যাপাচে অ্যাটাক চপার সামিল হবে বায়ুসেনায়। কয়েকদিন আগেই ধানোয়া মিগ যুদ্ধ বিমানের ব্যবহার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ধানোয়া বলেছিলেন যে মিগ বিমানগুলি ৫০ বছর আগেও চলেছে সেগুলি এখনও চালান বায়ুসেনার পাইলটরা। এই মিগ বিমানগুলির যন্ত্রাংশ তৈরি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই এই অ্যাপাচে অ্যাটাক কপ্টারের আগমন।
মিগ এর বদলে অ্যাপাচে
রাশিয়ার তৈরি মিগ-৩৫ চপার বাতিল করেই এই অ্যাপাচে অ্যাটাক কপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের খবর। মিগ-৩৫ চপারের যন্ত্রাংশ এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না। এমনকী রাশিয়াও এর যন্ত্রাংশ তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে। সেকারণেই আরও এই চপারগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় বায়ুসেনা। মার্কিন এই অ্যাপাচে চপার অত্যন্ত তিক্ষ এবং ক্ষিপ্র গতির। রাজস্থানের মরুভূমিতেও লক্ষভেদ করতে পারে। মাটির কাছাকাছি দ্রুত গতিতে উড়তে উড়তেও লক্ষ্য স্থির করতে পারে। অত্যন্ত উন্নতমানের সেন্সর রয়েছে এই চপারে। সহজেই শত্রুপক্ষের অস্তিত্ব আঁচ করার ক্ষমতা রাখে সেই সেন্সর।
উড়ানের প্রশিক্ষণ হয়েছে আমেরিকায়
অ্যাপাচে অ্যাটাক চপার চালানোর জন্য আমেরিকায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে বায়ুসেনার পাইলটদের। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিকে চপারগুলি পৌঁছনোর পর সেই প্রশিক্ষিত পাইলটরাই প্রথম উড়ান শুরু করবেন। তারপর ধাপে ধাপে অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষিত করা হবে। ঠিক যেমনকা রাফালের ক্ষেত্রে করা হবে বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের চোখ রাঙানির মাঝে এই মার্কিন বিধ্বংসী চপারের বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্তিতে নতুন সমীকরণ দেখছেন রাজনীতিকরা। তাঁদের দাবি, এই মুহূর্তে এই বিমান পাঠানকোটে এনে পাকিস্তানকে একটু চাপেই ফেলতে চাইছে মোদী সরকার। কারণ যুদ্ধ যানের ক্ষেত্রে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: ধৃত দুই লস্কর জঙ্গির হাড়হিম করা বয়ান! কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের গোপন ছক ফাঁস ]