কোভিড–১৯ রোধ করার প্রচেষ্টাই দেশবাসীর কাছে মোদীকে হিরোর ভূমিকায় এনে দিয়েছে
কোভিড–১৯ রোধ করার প্রচেষ্টাই দেশবাসীর কাছে মোদীকে হিরোর ভূমিকায় এনে দিয়েছে
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ভারতবাসীকে নাজেহাল করে তুলেছে। এই কোভিড–১৯ থেকে দেশকে রক্ষা করতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিন্দুকরা যাই বলুক না কেন, কয়েক মাস আগে ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার হাত থেকে সরকারকে দূরে সরিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে এই কোভিড–১৯ মহামারি।
করোনা সংক্রমণ মোদীর নেতৃত্বের সমর্থনকে বাড়িয়ে দিয়েছে
আমেরিকার সমীক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র মর্নিং কনসাল্টের মতে, এ বছরের ৭ জানুয়ারি মোদীকে সমর্থনের হার ছিল ৭৬ শতাংশ যা ২১ এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। আইএএনএস-সিভোটার কোভিড-১৯ ট্র্যাকার আলাদা এক সমীক্ষা করে দেখেছে যে তাঁর নেতৃত্ব পছন্দ করার হার ২৫ মার্চে ছিল ৭৬.৮%, যা বেড়ে হয়েছে ২১ এপ্রিল ৯৩.৫%। মার্চের প্রথমদিকে যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হল, সেই সময় মোদীর ঘাড়ে বিশাল বড় ব্যাঙ্কের ব্যর্থতা ও নতুন ধর্ম ভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যের রাস্তায় একমাস ব্যাপী প্রতিবাদ চলার দায় রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়গুলি আপাতত ভুলে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেকে দেশের ভাইরাস সংক্রমণের সম্মুখভাগে এবং কেন্দ্র স্থাপন করেছেন এবং বহু দেশকে বহুল সংক্রামিত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বনেতা হিসাবে তাঁর ভাবমূর্তি আরও দৃঢ় করেছেন। দেশজুড়ে লকডাউনের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলা প্রতিবাদ, সরকারের অর্থনীতি নিয়ে সমালোচনা করার বদলে এখন বিরোধীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে করোনা মোকাবিলায়।
করোনার পর দেশের অর্থনীতি সামলানো চাপের হবে মোদীর কাছে
তবে করোনা সংক্রমণ মিটে গেলে এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখা মোদীর পক্ষে কঠিন হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, একবার করোনা সংক্রমণ দূর হলে দেশের অর্থনীতিকে তুলে ধরা মোদীর প্রাথমিক কাজ হতে চলেছে। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে তাঁর। সেইসঙ্গে এই মহামারীর ফলে একটা বড় অংশের যুবক চাকরি হারাতে পারেন। এই সমস্যাও তাঁর জনপ্রিয়তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার করোনা উত্তর দেশের অর্থনীতিকে তুলে ধরতে কী ভূমিকায় দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে। তবে এখনও দেশে করোনা সংক্রমণ ধীরগতিতে হওয়ায়, যা ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে টেস্টিংয়ের হার অনেক কম হওয়ার জন্য ও দেশের মৃত্যু সংখ্যা অন্যান্য দেশের চেয়ে কম হওয়ার জন্য মোদী ভারতের ১.৩ মিলিয়ন মানুষের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছেন।
বিশ্বনেতাদের শীর্ষে নরেন্দ্র মোদী
মর্নিং কনসাল্টের করা সার্ভের বিচারে জনপ্রিয়তায় মোদীর পরে রয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তিন নম্বরে রয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের পয়েন্টই মোদীর থেকে অনেক কম।
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা নবান্নের