ঘূর্ণিঝড় প্রবণ হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলও, কোথায় কতটা প্রভাব একনজরে আবহাওয়া নিয়ে গবেষণায় সতর্কবার্তা
জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate change) এবং তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ছে মানজীবনের ওপরে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে আগের থেকে অনেক বেশি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হয়েছে। তবে আবহাও
জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate change) এবং তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়ছে মানজীবনের ওপরে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে আগের থেকে অনেক বেশি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হয়েছে। তবে আবহাওয়ার (Weather) এই সতর্কবার্তা পূর্ব উপকূলের জন্য সব থেকে বেশি। পশ্চিমবঙ্গেও ঘূর্ণিঝড়ের বড় প্রভাব ভবিষ্যতেও পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সাসেন্সের তরফে।
বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়, বেড়েছে ভারী বৃষ্টিপাত
ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ১৮৯১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিভারী এবং অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অতিভারী এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিও বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে।
সাগর-মহাসাগরের তথ্য নিয়ে গবেষণা
বিজ্ঞানীরা ভারত মহাসাগরের উত্তর দিক, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে এইসব জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এবং আছড়ে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশের পশ্চিম উপকূল বরাবর এর প্রভাব বৃদ্ধি ততটা হয়নি, যতটা হয়েছে পূর্ব উপকূলকে ঘিরে।
আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ওমান ও ইয়েমেনে
দেখা গিয়েছে আরব সাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে তার ল্যান্ডফল হয়েছে ওমান এবং ইয়েমেনে। রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
প্রভাব পড়েনি গুজরাত ও মহারাষ্ট্র উপকূলে
গুজরাত ও মহারাষ্ট্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি এবং তার ক্ষতিকারক প্রভাব সেরকম পড়েনি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে অন্তত পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে বঙ্গোপসাগর এবং আরবসাগরের দিকে যায় এর মধ্যে থেকে তিন থেকে চারটির ল্যান্ডফল হয় এবং তা মানুষ এবং সম্পত্তির ক্ষতি করে।
পূর্ব উপকূলের জন্য সতর্কবার্তা
গবেষণায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, তুলনামূলক বেশি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলের নিচু এলাকাগুলিতে। ভবিষ্যতে এর পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে আবহাওয়া দফতর আগে থেকে সতর্কবাণী করতে পারার কারণে এই আবহাওয়ার প্রভাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা গিয়েছে।
প্রভাব পড়তে চলেছে মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষির ওপরে
তবে এই পরিস্থিতি শুধু ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর কিংবা আরব সাগর এলাকায় বাড়েনি, জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে। বিভিন্ন দেশের সরকারের দেওয়া রিপোর্ট থেকে রাষ্ট্রসংঘের আবহাওয়া সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী দু-দশকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এর সঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিমাণ বাড়বে বলেই সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালের সময় কমবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য এবং কৃষির ওপরেও।