বাবার দেওয়া দুই নির্দেশ বদলে দিয়েছিলেন ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়, জেনে নিন কী ছিল সেই আইন
Array
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়। তার বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় দায়িত্ব নেবেন ইউইউ ললিতের থেকে। আট তারিখ তিনি এই দায়িত্ব নেবেন। ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কেরিয়ার খুঁজতে গেলে দেখা যাচ্ছে যে তিনি তার বাবার দেওয়া অন্তত দুটি নির্দেশ বদলে দিয়ে নতুন রায় দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত বিষয় গোপনীয়তার অধিকার
২০১৭ সালে তিনি এবং তার নয় সদস্যের বেঞ্চ রায় দিয়েছিল যে,' ব্যক্তিগত বিষয় গোপনীয়তার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে, এটা সবার প্রাথমিক এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখার অধিকার কারও ছিল না ১৯৭৫ সাল থেকে। কারণ সেই সময়ে চলছিক জরুরি সময়। জিরুরি সময় কেটে যাওয়ার পরেও এটি থেকে যায়। তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
ইন্দিরা গান্ধীর সরকার
আসলে
সেই
সময়ে
ইন্দিরা
গান্ধীর
সরকার
জরুরি
অবস্থা
ঘোষনা
করার
পর
থেকে
বহু
গণতান্ত্রিক
অধিকার
ছিনিয়ে
নিয়েছিল,
বহু
বিরোধী
নেতাকে
গ্রেফতার
করে
জেলে
দেখে
দেওয়া
হয়েছিল,
বন্ধ
করে
দেওয়া
হয়েছিল
সংবাদ
মাধ্যমের
মুখ।
চাপের মধ্যে রায়দান
সেই
সময়
বিচারপতি
ডি.ওয়াই
চন্দ্রচূড়ের
বাবা
ছিলেন
চার
জন
বিচারপতির
মধ্যে
অন্যতম
যারা
চাপের
মুখে
পরে
এই
রায়
দিয়ে
বাধ্য
হয়েছিলেন
যে,
জরুরি
অবস্থার
সময়
কোনও
ব্যক্তির
ব্যক্তিগত
বলে
কোনও
বিষয়
থাকবে
না।
সমস্ত
কিছু
জানবে
সরকার।
এই
অধিকার
রক্ষার
জন্য
কেউ
আদালতে
আসতেও
পারবে
না
বলে
বলা
হয়েছিল।
এখানে
একা
এর
বিপক্ষে
লড়েছিলেন
বিচারপতি
এইচ
আর
খান্না।
এর ৪১ বছর পর এই আইনের বিপক্ষে কথা বলেন ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং তিনি বলেন যে এবং তিনি বিচারপতি খান্নাকে বিশেষ সম্মান জানিয়েছিলেন সেই সময় একা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য।
ব্যাভিচার আইন
দ্বিতীয় যে আদেশ নিয়ে তিনি বাবার দেওয়া নির্দেশ পালটে দিয়েছিলেন তা হল ব্যাভিচার আইন। বর্তমান ব্যভিচার আইন এই কথা বলছে যে কোনও পুরুষ যদি কোনও বিবাহিত নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ভারতে ব্যভিচারে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়, অথবা রয়েছে জরিমানা। আগে এই আইনে বলা ছিল যে যে কোনও পুরুষ যদি কোনও বিবাহিত নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। আর তাই এই দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশের মানুষের জন্য।
কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ! কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ইডির