লকডাউনে স্বামী–স্ত্রী ঘরবন্দী, শহরগুলিতে চাহিদা বাড়ছে গর্ভনিরোধক পিল ও প্রেগনেন্সি টেস্টের
লকডাউনে স্বামী–স্ত্রী ঘরবন্দী, শহরগুলিতে চাহিদা বাড়ছে গর্ভনিরোধক পিল ও প্রেগনেন্সি টেস্টের
করোনা সংক্রমণের জেরে ঘরেই বন্দী হয়ে রয়েছে সকলে। বিশেষ দম্পতিরা এই সময়টা খুব ভালোভাবে উপভোগ করছেন। স্বামী–স্ত্রী উভয়েই এই সময় একসঙ্গে রান্না বা ঘর পরিস্কারের কাজও করছেন একসঙ্গে। তবে এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু শহরের সব ওষুধের দোকানদাররা জানিয়েছেন যে গর্ভনিরোধক পিল ও গর্ভধারণ পরীক্ষার কিটের বিক্রি ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
বেড়ে গিয়েছে প্রেগনেন্সি কিট ও গর্ভনিরোধক পিলের চাহিদা
একই সময়ে দম্পতিদের উদ্বিগ্ন আরও বাড়িয়েছে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ। আতঙ্কিত দম্পতিরা তাই এখন চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। শহরের চন্দ্রা লেআউটের অ্যাপোলো ফার্মেসির কর্মী বলেন, ‘লকডাউনের পর থেকেই গর্ভধারণ সনাক্ত করার কিট ও গর্ভনিরোধক পিলের চাহিদা মারাত্মকরকমভাবে বেড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত করে সংখ্যাটা বলতে পারব না, ৫০ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে। এইসব পণ্যগুলির ঘাটতি দেখা যায়নি। স্যানিটাইজার ও কিছু ওষুধের সরবরাহ নেই।' আট্টিগুপ্পের এক ওষুধের দোকানের কর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক মাসে আমরা ১৪-১৫ বাক্স গর্ভনিরোধক পিল বিক্রি করি, কিন্তু লকডাউন হওয়ার কারণে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা ২৫ বাক্সের বেশি গর্ভনিরোরধক পিল বিক্রি করেছি এবং প্রেগনেন্সি কিট বিক্রি করেছি প্রায় তিনগুণ।'
শহরগুলিতে প্রেগনেন্সি কিটের চাহিদা বেশি
চলতি বছরের মার্চ মাসে দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরু ও পুনে শহরে সবচেয়ে বেশি প্রেগনেন্সি কিট অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেন্ডটি অন্য শহরেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। গর্ভনিরোধক পিল বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে হায়দরাবাদ ও মুম্বইতে সবচেয়ে বেশি কন্ডোম বিক্রি হয়েছে। দেখা গিয়েছে যে আবাসিক স্থানের বাইরে যে সমস্ত ওষুধের দোকান রয়েছে সেখানে এইসব পণ্যের বিক্রি অনেক বেশি, অথচ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকাগুলিতে এনেক কম বিক্রি হচ্ছে এইসব জিনিস। লকডাউনের ফলে অফিসের কর্মীরা সব বাড়িতে বসেই এখন কাজ করছেন।
রেসিডেন্সি রোড এলাকার ওষুধের দোকানের মালিক হিতেশ বলেন, ‘আমরা সাধারণত ২০ বাক্স গর্ভনিরোধক পিল ও প্রেগনেন্সি কিট বিক্রি করি প্রত্যেক মাসে, কিন্তু এখন সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে ৫-৬টি বাক্সে। কারণ এখন শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলি একেবারে ফাঁকা।'
চিকিৎসকদের পরামর্শ
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ হেমা দিবাকর জানিয়েছেন যে বেশিরভাগ দম্পতি চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনিশ্চিত পরিস্থিতির জন্যই তাঁরা ঘন ঘন চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। এমনকী অনেক দম্পতি গর্ভপাতও করিয়ে নিতে চাইছেন এই পরিস্থিতিতে।
করোনা ধাক্কায় প্রায় দু-দশক পর সর্বাধিক জিডিপি পতন চিনে