বেঙ্গালুরুর 'বর্ষা'-র দুর্গাপুজো এবার মাতবে ধুনুচি নাচ থেকে ডান্ডিয়ার তালে! থাকছে বড় 'চমক'
মাঝে আর মাত্র একটা সপ্তাহ। তারপর আলোক রোশনাইয়ে ঢেকে যাবে শহর কলকাতা। ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে , শোনা যাবে নবমীর উলুধ্বনি, শাঁখের আওয়াজ। বনেদী বাড়ি থেকে পাড়ার প্যান্ডেল মেতে উঠবে উৎসবের আনন্দে।
মাঝে আর মাত্র একটা সপ্তাহ। তারপর আলোর রোশনাইয়ে ঢেকে যাবে শহর কলকাতা। ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শোনা যাবে নবমীর উলুধ্বনি, শাঁখের আওয়াজ। বনেদী বাড়ি থেকে পাড়ার প্যান্ডেল মেতে উঠবে উৎসবের আনন্দে। মা দুর্গার আগমনে এই চেনা ছবি বাংলার দিকে দিকে ধরা পড়বে আর কয়েকদিন বাদেই।
তবে, উমাকে সাদরে বরণ করে নিতে কোনও অংশে কম প্রস্তুত নয় গালিচা শহর বেঙ্গালুরুও। দেশের এই প্রযুক্তি নগরীর বাঙালিদের মধ্যেও ক্রমই চড়ছে 'পুজো ফিভার'! আর দুর্গাপুজো ঘিরে সেই উত্তেজনার পারদকে খানিকটা উস্কে দিচ্ছে বেঙ্গালুরুর এইচএসআর লেআউটের 'বর্ষার' পুজো।
পুজোর ঠিকানা
'বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন এইচ এসআর লেআউট, ব্যাঙ্গালোর'-এর দুর্গাপুজোকে এই শহরের মানুষ 'বর্ষা-র দুর্গাপুজো ' বলেই জানে। এই পুজোর ঠিকানা, এইচএসআর লেআউটের বিবিএমপি গ্রাউন্ড। এই পুজোর আমেজে খানিকটা কলকাতাকে মনে পড়তেই পারে। কারণ, খোলা মাঠে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে চেয়ার টেনে দেদার আড্ডার চেনা ছবি এখানে ধরা পড়ে প্রায়ই।
[আরও পড়ুন:'প্রেমের অনুভূতিটাই দারুন', 'সুজয়দা' জুবিন আরও কী জানালেন বিশেষ সাক্ষাৎকারে]
পুজোর বিশেষ আকর্ষণ
প্রতিবারের মত এবছরও বর্ষার পুজোয় থাকছে 'ধুনুচি নাচ' থেকে 'ডান্ডিয়া নাইট' -এর আয়োজন। নবমীর দিন ডিজে শাশা নিয়ে আসছেন ' ডিস্কো ডান্ডিয়া'। এখানেই শেষ নয়, ওই দিনই থাকছে ধুনুচি নাচের জমজমাট আসরও।
'বর্ষা'র বিশেষ চমক
এবছর অষ্টমীর দিন রাতে 'বর্ষা'-র পুজোর আঙিনা জমে যেতে চলেছে সঙ্গীত শিল্পী উষা উত্থুপের গানে! এবছর অষ্টমীর রাতে তিনি থাকছেন 'বর্ষা'-র পুজোয়।
পঞ্চমী থেকে সপ্তমীর আয়োজন
পঞ্চমীর দিন 'বর্ষা'-র তরফে আয়োজিত হচ্ছে 'আনন্দমেলা'। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গনে যেভাবে বিভিন্ন স্টলে খাবারের পশরা নিয়ে 'আনন্দমেলা' আয়োজিত হয় , সেইভাবেই আয়োজিত হবে এই মেলা। ষষ্ঠীর রাতে থাকছে গানের বিশেষ আসর।সপ্তমীর রাতে থাকছে 'সারেগামাপা' -র প্রতিযোগী ঋষির সঙ্গে 'ফোক নাইট'।
ভোগ থেকে খাবার স্টল
ভোজন রসিক বাঙালির দুর্গাপুজোয় রসনা তৃপ্তিতে মন দেবেন না তা কখনও হয়! আর সেই কথা মাথায় রেখেই পুজো প্যান্ডালের মাঠ জুড়ে থাকবে বিভিন্ন রকমের খাবারের স্টল। থাকছে ভোগের আয়োজন। প্রতিদিন দুপুরে ১২:৩০ থেকে ভোগের জন্য কুপন বিলি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। ভোগের জন্য কোনও টিকিট লাগবে না।পাশাপাশি 'বর্ষার' পুজো উদ্যোক্তারা সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এই ভোগের খাওয়া দাওয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য।