বর্ষার প্রথম থাবাতেই ফের বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য, ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা
বর্ষার প্রথম থাবাতেই ফের বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য, ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা
বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য। নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমের কিছু অংশে। ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসম, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার কিছু অংশ। ধসের কারণে শিলচর সফর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুয়াহাটি থেকে শিলচর যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে অসম সরকার। সেই রাস্তায় ক্রমাগত ধস নামছে তার কারণে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বর্ষায় বিপর্যস্ত অসম
ফের বৃষ্টি বিদ্ধস্ত অসম। বর্ষা শুরুর আগেই বন্যায় ভেসেছিল অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই পরিস্থিতি ভাল করে উন্নতি হওয়ার আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে উত্তরপূর্বের রাজ্য গুলিতে। আর বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই ফের বিপর্যস্ত অসম। লাগাতার বর্ষণর অসমের একাধিক পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে। গুয়াহাটি শহরের একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে। শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় সংযোগকারী রাস্তায় ধস নেমেছে। যার জেরে গুয়াহাটির সঙ্গে মেঘালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা এবং মিজোরামও
গত ২ দিন ধরে অসমের একাধিক জায়গায় চলছে ভীষণ বর্ষণ। বিশেষ করে উত্তর অসমের একাধিক জায়গায় বর্ষার কোপে ধস নেমেছে। তার জেরে উত্তর অসমের সঙ্গে মিজোরাম এবং ত্রিপুরার সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমে এক প্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে রাস্তা। তার জেরে অসমের সঙ্গে মিজোরাম এবং ত্রিপুরার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কও। সেকারণে জাতীয় সড়ক দিয়ে ভারি যান চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শিলচর সফরে সতর্কতা জারি
গুয়াহাটি থেকে শিলচর যাওয়ার রাস্তা বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। পাহাড়ি রাস্তার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেকারণে অসম সরকার এই মুহূর্তে শিলচর সফরে সতর্কতা জারি করেছে। শিলচর যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ধস নেমে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার জেরে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে শিলচর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর গত কয়েকদিনে চেরাপুঞ্জিতে যে বর্ষণ হয়েছে তা ২৭ বছরে রেকর্ড। গত ২৭ বছরে জুন মাসে এত বর্ষণ হয়নি চেরাপুঞ্জিতে।
শুক্রবারেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে বর্ষা
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পুরোপুরি বর্ষা ছড়িয়ে পড়েনি। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণ চলছে। তার জেরে পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তা-তোর্ষার মত নদীর জলস্তর একাধিক জায়গায় বেড়েছে। পাহাড়ের জেলাগুলিতে ধস নামছে। গতকালই ধসের কারণে সিকিমের রংপো যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গে এখনও সেভাবে বর্ষার বর্ষণ শুরু হয়নি। তবে শুক্রবার থেকে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।