লকডাউনে চাপ বাড়ছে ইন্টারনেটে, সংযত ডেটা ব্যবহারের আর্জি, নইলে ক্র্যাশ করবে সার্ভার
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, চিন সব দেশই লকডাউন শুরু করেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, চিন সব দেশই লকডাউন শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটে চাপ বাড়ছে ভারতের। যেকোনও মুহুর্তে তাবর সার্ভার ক্র্যাশ করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাপ বাড়ছে ইন্টারনেটে
ইন্টারনেটে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। কারণ লকডাউনের কারণে অধিকাংশ মানুষই ঘরের ভেতরে থাকছে। যার করাণে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। কেউ সিনেমা দেখছেন। কেউ খবর জানছেন, কেউ আবার ইউটিউবে মন দিচ্ছে। আর যাঁদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে তাঁরা তো বেশি করে নেট ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ব্রিটেনের ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডাররা ডেটা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ভোটাফোন জানাচ্ছে মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
ভিডিওর মান কমানোর সিদ্ধান্ত
পরিস্থিতি সামল দিয়ে নেটফ্লিক্স থেকে শুরু করে ডিজনি সকলেই তাঁদের ভিডিও কোয়ালিটি কম করতে শুরু করেছে। কারণ এইডি মানের ভিডিও-র জন্য বেশি ডেটা খরচ হচ্ছে। ডেটার ব্যবহার না কমালে প্রবল চাপ এসে পড়বে সার্ভারে তাতে আরও সংকট তৈরি হতে পারে। এমনকী ইউটিউব, গুগলও তাদের ভিডিও কনটেন্ট কমানোর চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে কম ডেটা খরচ হয় এমন মানের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
সার্ভারে চাপ বাড়ছে
যেভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে গত কয়েকদিনে তাতে যেকোনও মুহুর্তে সার্ভার ক্যাশ করে যেতে পারে। তাতে আরও সমস্যা তৈরি হবে। কারণ শুধু মাত্র বিনোদনই কিন্তু ইন্টারনেট নির্ভর নয়। গোটা দেশের ইন্টালিজেন্স থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থারও সিংহভাগ এখন নির্ভর করে ইন্টারনেটের উপর। তাই বারবার সকলকে ইন্টারনেটের সংযত ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে সার্ভাস প্রোভাইডাররা।