আর্থিক বৃদ্ধির গ্রাফ নামায় প্রশ্নের মুখে মোদী, আরও বাড়বে মুদ্রাস্ফীতির হার
রেপোরেট রাখা হল ৬ শতাংশেই। আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন মানিটারি পলিসি কমিটি বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের তুলনায়ও কম হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রেপো রেট রাখা হল ৬ শতাংশেই। আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন মানিটারি পলিসি কমিটি বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের তুলনায়ও কম হবে বলেও জানানো হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ হলেও, রেপোরেট একই রাখল দেশের মানিটারি পলিশি কমিটি। দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস এর আগে আরবিআই দিয়েছিল, তাও কমিয়ে দিয়েছে তারা। আগে যেখানে বৃদ্ধির আনুমানিক হার রাখা হয়েছিল ৭.৩ শতাংশে এখন তা রাখা হয়েছে ৬.৭ শতাংশে। আরবিআই গত অগাস্টে রেপোরেট ২৩ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছিল।
প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্টের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার কারণেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে শিল্পমহল।
স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে করা হয়েছে ১৯.৫ শতাংশে। ১৪ অক্টোবর থেকে যা লাগু হবে। ব্যাঙ্কগুলিকেও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারগুলির সিকিউরিটিস-এ বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাই হল স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও। এসএলআর কমিয়ে দেওয়ার প্রভাব পড়তে চলেছে ব্যাঙ্কগুলির ওপর।
অগাস্ট
মাসে
মুদ্রাস্ফীতি
পৌঁছে
গিয়েছিল
৩.৩৬
শতাংশে।
যা
ছিল
পাঁচ
মাসের
মধ্যে
সর্বোচ্চ
।
আরবিআই-এর
পূর্বাভাস
অক্টোবর
থেকে
মার্চের
মধ্যে
এই
মুদ্রাস্ফীতি
পৌঁছবে
৪.২
থেকে
৪.৬
শতাংশের
মধ্যে।
সূত্রের খবর, ছয় সদস্যের কমিটিতে ভোটাভুটিতে ৫ সদস্য হার অপরিবর্তির রাখার পক্ষে মত দেন। বাকি একজন রেপোরেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে মত দেন।
তবে
দেশের
কেন্দ্রীয়
ব্যাঙ্কের
সিদ্ধান্তে
অবাক
হননি
অর্থনীতিবিদরা।
মুদ্রাস্ফীতিকেই
এই
পরিস্থিতির
জন্য
দায়ী
করেছেন
তাঁরা।
শিল্পমহলের
আশা
ছিল
কেন্দ্রীয়
ব্যাঙ্ক
সুদের
হার
আরও
কমাবে,
যার
ফলে
নিজেস্ব
বিনিয়োগ
আরও
বাড়বে
বলে
আশায়
ছিলেন
তাঁরা।