বিহারে মদ নিষিদ্ধ, সেই সুযোগে ঝাড়খণ্ডে হুহু করে বাড়ছে 'সুরা পর্যটন'
রাঁচি, ২১ সেপ্টেম্বর : কিছুদিন আগেই বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। মদ বিক্রি করলে বা পান করতে গিয়ে ধরা পড়লে কড়া শাস্তিরও নিয়ম আনা হয়েছে। আর সেই সুযোগে প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডে রমরমিয়ে বেড়ে চলেছে মদের ব্যবসা। গত কিছুদিনে প্রায় ২০ শতাংশ ব্যবসা বৃদ্ধি হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মদ ব্যবসায়ীদের। [বিহারে মদের আইন ভাঙায় জরিমানা গোটা গ্রামের!]
সাধারণভাবে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিয়ে বা তেমন কোনও বড় অনুষ্ঠান হয় না। ফলে হোটের বা বার মালিকদের কাছে এই সময়ের বাজার মন্দাই থাকে। তবে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন হোটেলের ঘর বা ব্যাঙ্কোয়েট হলগুলি বুকিং হয়ে গিয়েছে। এই বুকিং করে রেখেছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা। [বিহারে নিষিদ্ধ মদ : নেশার আশায় কেউ খেল সাবান, কেউবা পেনকিলার!]
হোটেল মালিকেরা জানাচ্ছেন, শুধু কর্পোরেটরাই নয়, পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়েও অনেকে আসছেন, সপ্তাহান্তে হইহুল্লোড় করছেন। আর এদের বেশিরভাগই বিহার থেকে এরাজ্যে আসছেন বলেও জানা গিয়েছে। [শুখা বিহারে 'তাড়ি' খাওয়ার পরামর্শ লালু যাদবের]
বিশেষ করে বিহারের বিভিন্ন বড় বড় সংস্থার আধিকারিক এমনকী আমলারাও যাদের পোস্টিং বিহারে রয়েছে, তাদের সপ্তাহান্তের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে ঝাড়খণ্ডের হোটেলগুলিই। [বিহারে খালি গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে পাচার হচ্ছে 'নিষিদ্ধ' মদ!]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক তো জানিয়েই দিলেন যে, গ্রাহকদের মন জোগাতে মদ বড় ভূমিকা নেয়। আর বিহার থেকে সবচেয়ে কাছে যেহেতু ঝাড়খণ্ডই, তাই এখানে এসেই নানা বৈঠক সারা হচ্ছে। এমনকী বিহার সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এমনকী বেনারসেও মিটিং করে ব্যবসা করছে নানা কোম্পানি। ফলে বিহারের একটি সিদ্ধান্তে আশপাশের রাজ্যে মদ ব্যবসায় জোয়ার এসেছে।