অগ্নি মিসাইল থেকে দর্পের পোখরান পর্ব, জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা দেশের প্রতি আব্দুল কালামের অবদান
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবরর তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এক দরিদ্র পরিবারে ঘর আলো করে জন্ম হয়েছিল ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের। শুধু বিজ্ঞানী বললেই তাঁর জন্য 'বিশেষণ' থেকে থাকে না। তিনি ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ছিলেন একজন মানব দরদী , সমাজ প্রেমী শিক্ষাবিদ। ভারত তাঁকে যেভাবে পেয়েছে, যেভাবে তাঁর অবদান পেয়েছে, তাতেই সমৃদ্ধ হয়েছে নানান দিক দিয়ে। এমন এক মহীরুহের জন্ম বার্ষিকী আজ। দেখে নেওয়া যাক দেশের প্রতি তাঁর আবদানের বিভিন্ন দিক।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেশের প্রতি অবদান
২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ভারতীয় বিজ্ঞানের এই শ্রদ্ধেয় যুগ পুরুষ। ২০০২ সালে দেশের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন তিনি। এরপর থেকেই দেশে একজন শিক্ষাবিদ হিসাবেও তিনি একাধিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পোখরান পর্ব
আবদুল কালামের হাত ধরে ভারতে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পোখরানের নিউক্লিয়ার টেস্ট। পাকিস্তান যখন ক্রমাগত কাশ্মীরে রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করে, তখন ১৯৯৮ সালে কালামের নেতৃত্বে ভারত সফল নিউক্লিয়ার টেস্ট করে। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের ১৯৯৯ পর্যন্ত নিউক্লিয়ার গবেষণায় ভারতকে এক নতুন যুগের সামনে এনে দাঁড় করান কালাম।
'মিসাইল ম্যান '.. ভারতের গর্বের অধ্যায়ের পথিকৃত
ডিআরডিও এবং ইসরো দুটি তাবড় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানে এককালে নেতৃত্ব দিয়েছেন কালাম। তাঁর আমলেই শুরু হয়েছে অগ্নি ও পৃথ্বী মিসাইলের অপারেশনের কাজ। আর এই কাজে তাঁর সাফল্যের জন্য কালামকে 'মিসাইল ম্যান' বলে সম্বোধন করেন অনেকেই।
এসএলভি ও কালাম
ইসরোর ইন্ডিজেনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল নিয়ে ১০ বছর ধরে কাজ করেন কালাম। তারপরই আসে ইসরোর হাতে কাঙ্খিত সাফল্য। ১৯৮০ এর জুলাইতে ভারত সাফল্যের সঙ্গে রোহিনী লঞ্চ করে।
ব্যালাস্টিক মিসাইল ঘিরে সাফল্য
ভারতের ব্যালাস্টিক মিসাইল ঘিরেও বিশেষ প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল কালাম। তাঁর নেতৃত্বে 'ডেভিল' এর কাজ সম্পন্ন হয়। যা ভারতের প্রতিরক্ষার এক অসামান্য অঙ্গ।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবদান
আব্দুল কালাম স্বাস্থ্য়ক্ষেত্রেও ব্য়াপক অবদান রেখেছেন। কম দামের করোনারি স্টেন্ট তিনি দেশকে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি কার্ডিওলজিস্ট সোমা রাজুর সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগে কাজ করেন।