‘ধর্ষকদের মুক্তির জন্য বিচার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করবেন না, এটা রাজ্যের সিদ্ধান্ত’, মন্তব্য বিচারপতি ভাটকরের
‘ধর্ষকদের মুক্তির জন্য বিচার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করবেন না, এটা রাজ্যের সিদ্ধান্ত’, মন্তব্য বিচারপতি ভাটকরের
বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির জন্য বিচারব্যবস্থাকে দোষারোপ না করার জন্য দেশবাসীকে আবেদন করলেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। তিনি জানিয়েছে, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বিচার ব্যবস্থা নেয়নি। এটি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, মৃদুলা ভাটকর সেই বিচারপতি, যিনি ২০০৮ সালে বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহল রেখেছিলেন।
কী বলেছেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর
বিলকিস বানো মামলায় অপরাধীদের মুক্তির বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। অনেকক্ষেত্রে এই ঘটনার জন্য বিচারব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। বিলকিস বানো মামলার সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে থাকা বিচার বিভাগের একাধিক আধিকারিক ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের কিছু করার ছিল না। সমস্ত সিদ্ধান্ত গুজরাত সরকারের। সেই পথেই হাঁটলেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেন, 'এই ঘটনার জন্য মানুষ কেন বিচারবিভাগকে দায়ী করছে তা বুঝতে পারছি না। বিচার বিভাগ সব সময় জনগণের অধিকার রক্ষার জন্যই চেষ্টা করে। যখন আমাদের নিন্দা করা হয়, আমারা খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।'
বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর কে
বিলকিস বানো মামলার ১১ জন দোষীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। বিচারপতি বিজয়া তাহিলরামানি ও মৃদুলা ভাটকরের বেঞ্চ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে দোষী ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখে। এই প্রসঙ্গে মৃদুলা ভাটকর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিচার ব্যবস্থার তিনটি স্তরেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়কে বহাল রাখে। সেশন থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট মানুষকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য লড়াই করছে। বিচারপতি ভাটকর মহারাষ্ট্রের প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন।
ট্রায়াল কোর্টের রায়
ট্রায়াল কোর্ট ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল। সাত জনকে মুক্তি দিয়েছিল। ২০১৬ সালে সিবিআই যাবজ্জীবন সাজা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তিনজনকে দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছিল। ট্রায়াল কোর্ট সিবিআইয়ের সেই আবেদন খারিজ করেছিল। সেই সময় বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, '২০০২ সালের ঘটনাকে আমরা কখনই অস্বীকার করতে পারি না। তবে ঘটনার ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। আসামিরা এতদিন জেলে রয়েছে। ১৫ বছর পর আসামিদের সাজা বাড়াতে আমরা আগ্রহী নই।' বিচারপতি তাহিলরমানি ও ভাটকরের বেঞ্চ সাত জন পুলিশ আধিকারিক ও দুই জন চিকিৎসককে দুই বছরের সাজা দিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছিল। চিকিৎসক ও পুলিসকর্মীরা ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুপ্রিমকোর্ট তাঁদের আবেদন খারিজ করেছিলেন।
সীমান্তবর্তী রাজ্যের ডিজিপিদের জনসংখ্যা পরিবর্তনের ওপর নজর রাখতে হবে, সতর্ক করলেন অমিত শাহ