দেশে বন্ধ হোক ভিআইপি সংস্কৃতি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা
ভিআইপি বা নেতা–মন্ত্রী মানেই তাঁদের বিশেষ পরিষেবা ও তাঁদের সঙ্গে বিশেষ আচরণ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের মতো দেশে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। কিন্তু এবার এই সংস্কতির বদল হওয়া দরকার। তাই চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ফাইমা) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে সরকারি হাসপাতালে ভিআইপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে রাজনৈতিকবিদরা চিকিৎসকদের টেস্ট ও চিকিৎসার জন্য বাড়িতে ডেকে পাঠাচ্ছেন।
মোদীকে
লেখা
ওই
অভিযোগ
ভরা
চিঠিতে
এও
বলা
হয়েছে
যে
ফ্রন্টলাইনে
যে
সব
চিকিৎসকরা
কাজ
করছেন
তাঁরা
যদি
করোনায়
আক্রান্ত
হন
তাঁদের
জন্য
কোনও
সুবিধা
নেই,
উপরন্তু
রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্বরা
সব
ধরনের
সুযোগ–সুবিধা
পাচ্ছেন
এবং
তাঁদের
দলের
কর্মীরা
জনসভা–মিছিল–মিটিং
করে
সংক্রমণ
ছড়াচ্ছে।
রিপোর্টে
বলা
হয়েছে,
কেন্দ্র
সরকারের
হাসপাতালে
করোনা
টেস্টের
জন্য
ভিআইপি
কাউন্টার
রয়েছে,
সেখানে
সব
রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্বদের
দলীয়
কর্মী
এবং
মন্ত্রীরা
নিজেদের
টেস্ট
করাতে
পারে
কিন্তু
চিকিৎসকদের
জন্য
আলাদা
করে
টেস্টের
কাউন্টার
নেই।
চিঠিতে এও জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে অধিকাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই চিকিৎসকদের তাঁদের বাড়িতে ডাকেন, অথচ এটা করার জন্য মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্টের কোনও আইনত নির্দেশ নেই। এরই মাঝে রবিবার দিল্লিতে দৈনিক কোভিড–১৯ কেস মহামারির পর থেকে প্রথমবার ১০ হাজার অতিক্রম করেছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আর্জি করেছেন যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং নাগরিকদের আবেদন করেছেন প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাবেন না। তিনি কোভিড বিধি অনুসরণ করতে এবং হাসপাতালে ভিড় করতে নিষেধ করেছেন।
সোমবার দিল্লিতে কোভিড–১৯ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বেসরকারি ও সরকার উভয় হাসপাতালে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিছু সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালকে আবার পুরোপুরি কোভিড কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে বলে সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।