MGNREGA: আর নয় দুর্নীতি! 'বাধা' কাটিয়ে নতুন বছরের শুরু থেকে সর্বজনীন হচ্ছে ডিজিটাল উপস্থিতি
MGNREGA: আর নয় দুর্নীতি! 'বাধা' কাটিয়ে নতুন বছরের শুরু থেকে সর্বজনীন হচ্ছে ডিজিটাল উপস্থিতি
দুর্নীতি দূর করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম অর্থাৎ এমজিএনআরইজিএ-এর অধীনে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের সবার উপস্থিতি ডিজিটালি নেওয়া হবে।
আগামী বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ২০২৩-এর ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল আগে থেকে
এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ছিলই। তবে তা থেকে রক্ষা পেতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের মে মাসে স্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে মোবাইল অ্যাল্পিকেশন ন্যাশনাল মোবাইল নমিটারিং সিস্টেম চালু করে। সেই প্রক্রিয়াতেই এই প্রকল্পে উপস্থিতি নথিভুক্ত করতে পাইলট প্রকল্প শুরু করেছিল।
বাঝা তৈরি হয়েছিল
আর ২০২২-এর ১৬ মে থেকে যেসব জায়গায় কর্মী সংখ্যা ২০ কিংবা তার বেশি, সেখানে অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এর জন্য শ্রমিকদের দুটি টাইমস্ট্যাম্পড এবং জিওট্যাগ করা ছবি আপলোড করতে বলা হয়েছিল। এই কাজটি দেওয়া হয়েছিল তত্ত্বাবধায়কদের ওপরে। যাঁরা MGNREGA-তে অদক্ষ শ্রমিকদের থেকে বেশি বেতন পান। তবে সেখানেও বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে ছিল প্রযুক্তিগত সহায়তা না পাওয়া, স্মার্টফোন না থাকা, স্মার্টফোন থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগের অভাব এবং অনিয়মিত ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ ওঠে।
ডিজিটাল উপস্থিতির নির্দেশ
তবে ২৩ ডিসেম্বর মন্ত্রকের তরফে সর্বশেষ নির্দেশে বলা হয়েছে, নিযুক্ত কর্মীর সংখ্যা যাই হোক না কেন এবং কর্মক্ষেত্র সেখানেই হোক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সবার ডিজিটাল উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। যা ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অ্যাপে বিশৃঙ্খলা
এই
নির্দেশটি
এমন
একটা
সময়ে
দেওয়া
হল,
যেখানে
আগেকার
অভিযোগগুলির
এখনও
কোনো
সমাধান
হয়নি।
অ্যাপ
ভিত্তিক
উপস্থিতিতে
ইলেকট্রনিক
মাস্টার
রোল
নিয়ে
সমস্যা
দেখা
দিয়েছিল।
যদি
কোনও
ইলেকট্রনিক
মাস্টার
রোলে
১০
জনের
মধ্যে
দুজন
উপস্থিত
থাকত
তাহলে
সেই
ওয়ার্কসাইট
খুলত
না।
যা
জেরে
শ্রমিকরা
কাজও
করতে
পারতেন
না।
যার
জেরে
বিশৃঙ্খলা
দেখা
দেয়।
এছাড়াও
বড়
সমস্যা
ছিল
দুবার
স্ট্যাম্প
করা
ছবি।
শ্রমিকরা
তাদের
কাজ
শেষের
পরে
দ্বিতীয়
ছবির
জন্য
কর্মক্ষেত্রে
ফিরে
যেতে
বাধ্য
হতেন।
ফলে
যেসব
শ্রমিক
এই
প্রকল্পে
কাজ
করতেন,
তাঁদের
অনেকের
মনে
এই
ধারনা
তৈরি
হয়,
এই
প্রকল্পের
ওপরে
নির্ভর
করা
থেকে
তাদের
নিরুৎসাহিত
করতেই
এইসব
ব্যবস্থা।
ফলে
প্রকল্পের
উদ্দেশ্য
ব্যর্থ
হতে
যাচ্ছিল।
শ্রমিকরা
বলছেন
যতবারই
প্রযুক্তি
ভিত্তিক
কোনও
সমাধান
আনা
হয়েছে,
সরকারের
তরফে
বলা
হয়েছে
এটা
দুর্নীতি
দূর
করবে।
ফলে
নতুন
উপায়ে
দুর্নীতি
কতটা
দূর
হয়
এখন
সেটাই
দেখার।
কংগ্রেসে বাড়ছে আস্থা, যোগদান ফরওয়ার্ড ব্লকের ১১টি লোকাল কমিটির সদস্যের