
বিশেষভাবে সক্ষম কোনও যাত্রীকে বিমান যাত্রায় আর বাধা দেওয়া যাবে না, আইনের সংশোধন ডিজিসিএ-এর
বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীকে বিমানে যাত্রায় বাধা দিতে পারবে না কোনও এয়ারলাইন্স সংস্থা। বাধা দিতে গেলে ওই যাত্রীকে লিখিতভাবে কারণ জানাতে হবে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন। ডিজিসিএ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীর বিমান যাত্রা নিয়ে আইন সংশোধন করেছে। নয়া আইনে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের সুবিধার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কী রয়েছে সংশোধিত আইন
ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ জানিয়েছে, সংশোধিত আইনে বিশেষভাবে সক্ষম কোনও যাত্রীকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া যাবে না। এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলোকে বিমান যাত্রায় বিশেষভাবে সক্ষম কোনও যাত্রীকে বাধা দিলে, তার কারণ লিখিতভাবে জানাতে হবে। ডিজিসিএ বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের সুবিধার জন্য বৃহস্পতিবার সিভিল অ্যাভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট সেকশন-৩ তে 'এয়ার বাই ক্যারেজ -পার্সল উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি' আইন সংশোধন করেছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, অনেক সময় বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীরা নিজে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁদের জন্য হুইল চেয়ার বা ওই জাতীয় কোনও বিশেষ যানের প্রয়োজন হয়। এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো এই ধরনের কোনও যান বহন করতে অস্বীকার করতে পারবে না।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
কোনও এয়ারলাইন্স সংস্থা যদি বুঝতে পারেন, বিশেষভাবে সক্ষম ওই যাত্রীর জন্য বিমান যাত্রা নিরাপদ নয়, সেক্ষেত্রে নিজেদের চিকিৎসক দিয়ে পর্যবেক্ষণ করাতে হবে। ওই চিকিৎসক যাত্রীর শরীরিক পরিস্থিতির বর্ণনা করবেন। কেন যাত্রী বিমান যাত্রা করতে পারবেন না, চিকিৎসককে জানাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরেই এয়ারলাইন্স সংস্থা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে এই বিষয়ে যাত্রী বা তাঁর পরিবারকে লিখিত জানাতে হবে।

ইন্ডিগোর ঘটনার জের
মাস খানেক আগে বিশেষভাবে সক্ষম এক কিশোরকে রাঁচি বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমানে উঠতে বাধা দেয়। ঘটনার জেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইন্ডিগোকে। সেই সময় ইন্ডিগোর তরফে দাবি করা হয়েছিল, মানসিকভাবে অসুস্থ এক কিশোরকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, কারণ ওই কিশোর হিংসাত্মক আচরণ করছিল। ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড স্টাফেরা বাকি যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। ইন্ডিগোর এই অমানবিক আচরণকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ডিজিসিএ। ইন্ডিগোকে জরিমানার মুখে পড়তে হয়। ইন্ডিগোর নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাউন্ড স্টাফরা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে কর্মীরা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে।